পুরোহিতহীনতার কবিত্ব
মলয় রায়চৌধুরী
রশ্মির স্বাহা কয়েকটা উড়ছিল
নাভির চর্বিতে আগুন ধরিয়ে
পাঁজর ফাটার শব্দ
প্রচুর গাওয়া-ঘি মাখানো সুন্দরী
চন্দন মাখানো কান-নাক-চোখে ছোঁয়াবার সোনা
কবি তিন বার তোমাকে পাক দিচ্ছিলেন
নুটির আগুন
পোশাক বদলের হিন্দু সময় নেই
এক লিটার সিলবন্ধ গঙ্গাজল
খড়ের পালঙ্ক কে জানে কোন কাঠ
চামড়া পোড়া গন্ধের মোহক
ভেবো না যে কাঁদছেন কবি
ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করছিল ওঁর
শবদেহের কিউ কালকে সকাল থেকে
রজনীগন্ধারা শুকিয়ে ন্যাতানো
অ্যামবুলেন্স চালকেরা দিনে ষোলো বার
রোজগারের সুযোগ এসেছে বহুকাল পর
রশ্মির স্বাহা খেলছে আপাদমস্তক
এতো দেরি কেন
নিমপাতার প্যাকেট কিনতে গিয়েছিল
পর পর সহমরণের লাইন দিয়েছে দেখছেন
মুদ্দোফরাসের লোহার অভ্যস্ত বাড়ি
খুলির ওপরে
ব্রহ্মাণ্ড ফাটার আওয়াজ
আগুন চমক দিয়ে নিজস্ব উড়াল নেয়
সাতজন আত্মীয় নেই বলে কবি
নিজেই প্লাস্টিকের কলসি ভরে জল দেন নিভন্ত আগুনে
পাথর, জল, গোবর, সাদা সরষে,
লোহা, মটর ডাল প্লা্টিক প্যাকেটে
কিন্তু কবির তো বাড়ি নেই
আত্মীয়-স্বজন নেই, জ্ঞাতি-বন্ধু নেই
তিনি তো নিজেই নিজের পুরোহিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন