মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরী

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা


রূপকথার একশো বছর
মলয় রায়চৌধুরী
কেউ কি ভেবেছিল কখনও ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে বাংলাভাষী একজন
নেমে আসবে রূপকথা থেকে ? অখ্যাত কবির রোমকূপে হর্ষের ঝড় তুলে
আত্মাভিমানকে তার অনন্তকালের আলো দেবে ! হ্যাঁ, মুজিব বঙ্গবন্ধু
অখ্যাত বাংলাভাষী  আমি ও আমার পিতা, আমার বংশধরেরা, চিরকাল
বেঁচে থাকবে আপনার ধ্বনি-দেয়া মর্ত্যলোকের অভূতপূর্ব বিস্ময়ে ।
কেবল আমার বাংশধরেরা নয়, আমার মতন আরো কোটি-কোটি
ভাষাসন্তানেরা বেঁচে থাকবে আপনার অমরত্বে, পৃথিবীর যেখানে থাকুক
তারা, তাদের প্রতিটি উচ্চারণে আপনার নায়কোচিত আত্মবলিদান
সেইসব যুবকের হাতে যারা নিজেরই মায়ের ভাষা বর্জনীয় ভেবে
রূপকথা-বর্ণিত রাক্ষসপুত্রের ভূমিকায় দানবের দেয়া স্বর্ণের বিনিময়ে
ভাবলো আপনাকে ও আপনার বাড়ির লোকেদের গুলিবিদ্ধ করলেই
মৌন হয়ে যাবে জয়ধ্বনি । হয়নি যে তা তো তারা এবং তাদের 
দোসরেরা জীবৎকালেই জেনে গেছে । বাংলাভাষা তো ঘাসের মতন
কখনও শুকায় না ; জঙ্গলে আগুন লেগে অলিভ-পোশাক-পরা গাছ
ছাই হয়, কিন্তু সে-আগুন নিভে গেলে ঘাসেরা আবার আসে ফিরে--
যেমনই সে ঘাসেরা হোক, ছোটো-বড়ো-গরিব-বৈভবশালী, দ্রুত
ছোটে তারা জয়ধ্বনি দিতে-দিতে পৃথিবীর ভিজে বা শুকনো মাটিতে--
জানে ওই সবুজ ঘাসেরা আপনার পায়ের ধূলিকণা তাদের অমরত্ব
দিয়ে গেছে । যতোদিন পৃথিবীতে রয়েছে বাংলাভাষী আপনি আছেন 
রক্তে সেই সব মানুষের পূর্বপুরুষ হয়ে, আদিবন্ধু বঙ্গভাষী হয়ে