মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরী

রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

চে গ্বেভারা : লারগা ভিদা আল কমান্দান্তে



লারগা ভিদা আল কমান্দান্তে
আমি রাইফেল চালাতে শিখেছিলুম
আমি স্টেনগান চালাতে শিখেছিলুম
আমি রিভলভার চালাতে শিখেছিলুম     
শিখেছিলুম আপনার স্মৃতিকে নিজের ভেতরে পুষে রাখব বলে
মার্গারেটের ডাকে বলিভিয়ায় গিয়েছিলুম
নয়েস্ত্রা সেনিওরা দ্য লা পাজ-এ
উচ্চতায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছিলুম
লারগা ভিদা আল কমান্দান্তে
চিলে আর পেরুর বাতাসে ঝড় তুলেছিল আমার চিৎকার
বাতাস বইলে মনে হয় সবুজ রঙের ঘোড়ার দল ছুটছে
আমিও একটা সবুজ ঘোড়ার ওপরে বসে দেখলুম গাছের ওপরে আপনার বাসা
ম্যাকাও পাখির মেটিঙ কল যেন বুলেট ছুটছে
কমান্দান্তে চে
কমান্দান্তে, আপনি পৃথিবীর স্বপ্ন
আপনি দুটো হাত দিয়ে স্বপ্ন দেখতেন আর দেখাতেন
তাই শত্রুরা হাত দুটো কেটে নিয়ে লোপাট করে দিয়েছিল
নয়টা বুলেটে বিদ্ধ করেছিল আপনাকে
বুলেটের আওয়াজ চিরকাল ধরে রাখবে ম্যাকাও পাখিরা
আমার কবিতায় আপনার মোটর সাইকেল ছুটবে
সারা লাতিন আমেরিকা জুড়ে
আমি নিকারাগুয়ায় গিয়েছিলুম আরনেস্তো কার্দেনালের সঙ্গে দেখা করতে
মার্গারেট র‌্যানডালের সঙ্গে কথা বলতে
মার্গারেট আমার বিপ্লবের কবিতা প্রকাশ করতো
আমাকে চুমু খেতে দিয়েছিল মার্গারেট
যাতে ঠোঁটে বিপ্লবের উষ্ণতা নিয়ে দেশে ফিরি
টুপাক আমারুর দলের গেরিলাদের আগে আমি গেরিলাদের সঙ্গে মিশিনি
আমি ওদের দেখাদেখি টুপাক আমারুর নামে জয়ধ্বনি দিলুম
কিউবায় যাইনি কমান্দান্তে
আপনি কিউবা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন
আপনি বুঝে গিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপোস করা যায় না
কিউবা থেকে আপনার হাত দুটোও লোপাট হয়ে গিয়েছিল
কিউবার নোটে আপনার সই থাকতো
লারগা ভিদা আল কমান্দান্তে
                                                                                                

হে প্রেম হে নুনু

“হে প্রেম হে নুনু”
উৎসর্গ : বিয়ার গ্রিলস
লড়ছিল দুই পুংহরিণ, শিঙের সঙ্গে শিঙ জড়িয়ে
হরিণীদের সবকটাকে পাবার জন্য
গোটা দশেক ভার্জিন আর বাদবাকিরা ঋতুগন্ধা
ঘাপটি মেরে দেখছিল চার-পাঁচটা সিংহী
দুটোকেই ধরল ঘিরে আর খেতে-খেতে ছিঁড়তে লাগলো
পৌঁছে গেল খোকাসিংহ খুকিসিংহি রক্তভোজে
এগিয়ে এলেন পুরুষসিংহ দুলকিচালে
পুংহরিণের নুনু দুটো সিংহমশায় খাবেন

শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

মানুষের ভাষা

“মানুষের ভাষা”
উৎসর্গ : কুন্তী
যোনি থেকে অর্ধেক বেরিয়ে রক্তমাখা দেহে
চিৎকার করছে নিজস্বভাষায় । বেরোতে চায় না
ফিরে যেতে চায় ; জন্মাবার সময়কে মানবে না
বাচ্চাটার মা ওকে দুহাতে ধরে বের করতে চাইলেও
পারছে না ; দাঁড়িয়ে জন্ম দিচ্ছে ; পা বেয়ে রক্ত টুপটাপ
ভিড় জমে গেছে ; সকলেই বাচ্চাটার ভাষা বুঝতে চায়
প্রত্যাখ্যানের ভাষা, জরায়ুতে ফেরত যাবার ভাষা
সবাই ওই ভাষা শিখে নিয়ে পুনরায় ফিরে যেতে চায়

সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

কবিতার স্মরণে পর্ব ২১ | Malay Roy Choudhury | Susmita Bose | Kabita Kutir

প্রেমিকা

প্রেমিকা
উৎসর্গ : রত্নপ্রভা
মাথার দিক থেকে গেলা আরম্ভ করো তুমি
চেবাও না, চেবাবার দাঁত নেই, শুধু একটু-একটু করে
পুরোটা অস্তিত্ব গিলে নাও, জীবন্ত গিলে নিতে থাকো
একেই প্রেম বলে মনে করো তুমি
প্রেমিককে আগাপাশতলা চুবিয়ে জারকরসে
দুটি দাঁতে বিষ জড়ো করো