মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরী

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

হাংরি আন্দোলন সম্পর্কে শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

 হাংরি আন্দোলন : শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ধীমান চক্রবর্তী এবং মুর্শিদ এ এম

প্র: আপনার কাছে কোনো চিঠি আছে মলয়ের বা সমীরের ?

উ: না, না, আমি তো লিখিনি। যখন এসেছে, দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু চিঠি লিখিনি । তবে হাংরি জেনারেশন করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । আইওয়া থেকে ফিরে এসে সুনীল হাংরি জেনারেশনের সপক্ষে সাক্ষী দেয়। সেই সাক্ষীর জোরে, বুদ্ধদেব বসুর জোরেই ওরা মুক্তি পায় । পি.কে.সেন পুলিশ কমিশনার, আমাদের যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। উৎপলকুমার বসুকে ডেকে পাঠান । বলেন, তোমরা এ সমস্ত অন্যায় কাজ করছ । এ সমস্ত কাজ করতে দেয়া হবে না । ওকে বলে যে, তুমি লেখো, আমি আর এ সমস্ত কাজ করব না । যদ্দুর মনে হয় শক্তি চট্টোপাধ্যায় আর উৎপল দুজনেই লিখে দিয়েছিল আমরা এসব করব না । 

প্র: শক্তি তো বিপক্ষে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন—

উ: হ্যাঁ–

প্র: আরও একটা ব্যাপার আছে। সুনীলবাবু যে আইওয়া থেকে চিঠি লিখেছিলেন মলয়কে যে —তোমরা এই আন্দোলন-টান্দোলন করো, কাছে থাকলে একটা থাপ্পড় দিতাম । আবার সেই সুনীলই মলয়ের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছেন — এটা কীরকম ব্যাপার ?

উ: সুনীলের এটা দ্বিচারিতা….

প্র: হাংরি আন্দোলন ১৯৬৫ সালে শেষ হয়ে যাবার পর সমীরদা পোস্টমডার্ন, অধুনান্তিকতা ইত্যাদি নিয়ে কাজকর্ম শুরু করেছেন । সেই নিয়ে আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে চাই।

উ: মানে সিরিয়াস সাহিত্যের কাজ, হাংরি আন্দোলন ছেড়ে দিয়ে…? সেই সময় সমীর আর শান্তি লাহিড়ী মেঘমল্লারে এসে, মদ্যপ অবস্হায়, ট্যাকজসি করে এসে এক কপি হাওয়া৪৯ দিয়ে বললেন, এটাতে আপনি লিখুন। আমি লেখা দিয়েছিলাম কিনা মনে নেই । সম্ভবত কখনো দিইনি। একদিনই এসেছিল, তারপর যোগাযোগ করেনি । তখনই জানতে পারলাম যে সমীর সিরিয়াস সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । হাংরি আন্দোলন তখন শেষ, বন্ধ হয়ে গেছে । তারপরই তো নকশাল এসে গেল, ব্যাপারটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । সমীর যখন সিরিয়াস কাজকর্মে যুক্ত হল, তখন ওর সঙ্গে আমার সাহিত্য সভা-টভায় দেখা হতো । ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল একটা ব্যাপারে, সেটা হচ্ছে — সুনীলের যখন আইওয়া যাবার কথা হচ্ছে, তখন একটা বই বেরিয়েছিল Blue Hand, ডেবোরা বেকার বলে এক মহিলার লেখা, তিনি হলেন অমিতাভ ঘোষের মেম স্ত্রী – বইটি অ্যালেন গিন্সবার্গের জীবনী। বইটি লেখার জন্য লেখিকা আমার কাছে এসেছিলেন তথ্য যোগাড় জরতে। আমি সাহায্য করেছিলাম বলে বইটি যেদিন বের হয় সেদিন আমাকে নেমন্তন্ন করা হয়েছিল—টাউন হলে অনুষ্ঠান হয়েছিল । বইটার এক কপি দিয়েছিল। সেই লেখায় আমি পড়লাম যে হাংরি জেনারেশনের ব্যাপারে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লাভবান হয়েছে, আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপল । কারণ উৎপলের চাকরিটা চলে যায় । 

প্র: সমীরদারও তো চাকরি চলে যায় । মানে সাসপেণ্ডেড হন ।

উ: হ্যাঁ, তারপর ফিরে পায় । কিন্তু উৎপল এইসব করাতে চাকরি চলে যায় । ওই Blue Hand বইতে লেখা আছে যে, উৎপল আমেরিকাতে অ্যালেন গিন্সবার্গের সঙ্গে যোগাযোগ করে — যে আমার এখন চাকরি নেই, আমি খুব খারাপ অবস্হার মধ্যে আছি, আমায় কিছু একটা ব্যবস্হা করে দাও। তখন গিন্সবার্গ তাকে বলে, তুমি লণ্ডন চলে যাও, ওখানে স্কুলে পড়াবে, আমি ব্যবস্হা করে দিচ্ছি । এবং Blue Hand বইতে লেখা আছে with the help of Allen Ginsberg, Utpalkumar Basu has got a job in London. আমি সেই ঘটনার উল্লেখ করে, শক্তির জন্মদিনে একটা উৎসব হয়েছিল, সেখানে, ওই যে অনুষ্ঠান-টান করে, কী যেন নাম, সে আমাকে নেমন্তন্ন করল যে, আমাকে একটা লেখা দিন —। সেখানে শক্তি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে একটা কথা লিখেছিলাম যে, আইওয়া যাবার প্রস্তাব নিয়ে আসে কলকাতায় প্রথম পল অ্যাঙ্গেল, এবং উদ্দেশ্য ছিল যে, বোহেমিয়ান একজন কবিকে আমন্ত্রণ করবেন, যেমন উনি নানা দেশ থেকে নিয়ে যান —এবং তার জন্য টাকাও এনেছিলেন। ওঁর লক্ষ্য ছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায় । শক্তি চট্টোপাধ্যায়কেই উনি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু বুদ্ধদেব বসু ও সম্প্রদায় বলেছিল, এবং তাতে সুনীলেরও সায় ছিল নিশ্চয়ই, যে, শক্তি যেমন মদ খায় আর মাতলামি করে – সুতরাং ওকে না পাঠিয়ে অন্য কাউকে পাঠানো হোক । সুনীল খুব ভদ্র সুতরাং পত্রপাঠ আইওয়া চলে যায় এবং পরের বছর শঙ্খ ঘোষকে পাঠানো হয় । পরপর দুবছর ওরা যায় এবং শক্তি বাদ পড়ে যায় । সেটা আমি লিখেছিলাম শক্তির জন্মদিনে, ওই লেখাটার মধ্যে । সেটা পড়ে সুনীল আমায় চিঠি লেখে যে, আপনি ওই বইটা পড়ে লিখেছেন যে, There was a rumour, that Shakti Chattopadhyay was the nominated person, but Sunil Gangopadhyay availed the chance. এটা পড়েছেন বোধহয়। সেটা ভালো করে পড়িনি — আসলে রিউমার ছিল বোধহয়–। তারপর লেখে, এ প্রসঙ্গে জানাই এ বছরের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার আপনি পাচ্ছেন — আমাকে পুরস্কারটা পাইয়ে দিয়ে আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। সেই চিঠিটাই আমি কয়েক দিন আগে ‘নতুন কৃত্তিবাস-এ দিয়ে দিই, বীজেশ সাহা সেটা ছেপে দিয়েছে । সুনীলের চিঠিটা। ঘটনা হচ্ছে ওরা চেয়েছিল একজন বোহেমিয়ান, এবং সেই অর্থে শক্তি যথেষ্ট বোহেমিয়ান ছিল। কিন্তু সুনীল ছিল ভদ্র, কিন্তু বুদ্ধদেব বসুর টান ছিল ওর প্রতি, তাতে করে সুনীল নমিনেটেড হয়ে যায়। সুনীল তার অর্ধেক জীবন  বইতে লেখে– ‘অ্যালেন কলকাতা থেকে চলে যাবার পরে সুনীলকে চিঠি লেখে যে, আমাকে নমিনেট করেছে, আমাকে আইওয়া যেতে হবে। আমি প্রস্তুত হলাম এবং চাকরি বাকরি ছেড়ে চলে গেলাম।’ একবছর পর যখন ফিরে আসে তখন চাকরি নেই কিন্তু চাকরি পেয়ে গেল । আনন্দবাজারে আর সবাই যেমন লেখালিখি করে, ওকে একটা পৃষ্ঠা দেওয়া হল, পঞ্চাশ টাকা করে দিত, এক পৃষ্ঠা লেখা— আনন্দবাজারের চাকরি !

প্র: সুনীলের সঙ্গে সমীরের যেমন বন্ধুত্ব ছিল, তেমনি শেষের দিকে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি বা বিরোধও ঘটেছিল। এ সম্পর্কে কিছু শুনেছেন ?

উ: না। একদম জানি না । কী ধরনের বিরোধ ?

প্র: বিরোধ বলতে দীর্ঘ দিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল না ।

উ: বোধ হয় দূরত্বের জন্য ।

প্র: না । উনি ব্রহ্মপুর আর ইনি এই গড়িয়াহাট । স্হানিক দূরত্ব তো বেশি নয়, লেখালিখি নিয়ে বা আলাপচারিতায় বা একে অপরের খোঁজ নিতেন না—

উ: সমীরের যে ধরনের সাহিত্যচর্চা, তার সঙ্গে সুনীলের সাহিত্যচর্চায় কোনো মিল নেই। সুনীলের হচ্ছে সামাজিকতা এবং জনপ্রিয় সাহিত্যের দিকে নজর। সমীরের ছিল সিরিয়াস সাহিত্য নিয়ে কথাবার্তা — এবং সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে গবেষণার দিক বিকশিত করা। ওদের মধ্যে মিল থাকার কথা নয়। সমীরের সঙ্গে বহু মানুষের বন্ধুত্ব ছিল, সমীরের সঙ্গে কেন ছিল জানি না। এটা খুব দুঃখের কথা। সুনীলের সঙ্গে শঙ্খবাবুর বন্ধুত্ব হয়েছিল, সমীরের সঙ্গে হয়নি ! যারা যারা নিরপেক্ষ ছিল তাদের সঙ্গে হয়নি ।

প্র: হাওয়া৪৯-এর কোনো লেখা পড়েছেন ? ইদানিং যা যা লেখালিখি তা কি আপনার গোচরে এসেছে ?

উ: বিশেষ কিছু পড়িনি । কয়েকটা সংখ্যা হাওয়া৪৯ পড়েছি, তারপর আমার সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি, এবং আমারও তেমন উৎকন্ঠা হয়নি এসব বিষয়ে । আমি আমার নিজের লেখা নিয়ে থাকতাম ।

প্র: একদিন যে সাহিত্যসভায় দেখা হল বললেন ? সেখানে কী কী কথাবার্তা হল ?

উ: ওখানে হাংরি আন্দোলন নিয়ে কথাবার্তা হল । মলয়কে ও নাকি সংযত হবার পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু মলয় সেটা শোনেনি । এরকম বলল, সেটা সত্যি কিনা জানি না, হয়তো হয়ে থাকতে পারে। আসলে হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের হিরো হচ্ছে মলয় রায়চৌধুরী। যদি কারও আমেরিকা যাবার কথা হয়ে থাকে তো যাওয়া উচিত ছিল মলয়ের । হাংরি জেনারেশন নিয়ে আমেরিকায় যদি উৎসাহ হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য মলয় যেহেতু নেতৃত্ব দিয়েছিল – মলয়েরই যাওয়া উচিত ছিল। মলয় বড়ো ব্যাঙ্কে চাকরি করত বলে, চাকরি ছেড়ে যেতে চায়নি কিনা জানি না । ওর যাওয়ার কথা উঠেছিল কিনা তাও জানি না । ওরই যাওয়ার কথা, ও-ই ছিল লিডার অব হাংরি জেনারেশন । প্রথম থেকেই। সমীর রায়চৌধুরী নেতৃত্ব দিয়েছিল কিনা জানি না, বড়ো দাদা হিসেবে সঙ্গে থাকা, টাকা-পয়সা দেওয়া — এসব করেছিল। কিন্তু আসল নেতৃত্ব দিয়েছিল মলয়, এ আমি এখনও বলব ।




রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

একশো পাঁচটি আভাঁগার্দ কবিতা

 একশোপাঁচটি আভাঁগার্দ কবিতা

এক

  


দেখেছি ডুমুর ভেঙে কচি ফুল প্রেম ভেঙে যোনি ছিঁড়ে যাচ্ছে প্রত্যবর্তনহীন গোলকধাঁধায় ফুটকড়াই পূজনীয় ব্যথাগুলো দিলুম গো অশরীরী বীক্ষণ বাড়ে দিদি আপনার সাথে যুদ্ধকালীন ঘেমো তৎপরতায় আমি টাশকি খেয়ে হাতড়ে হাতড়ে হাতড়ে হাতড়ে ধর্মের মূল কিতাব লালটুকটুক রেডবইয়ের জলের তলায় এতটাই ভয়ঙ্কর, গা থেকে খুলুখুলু সিংহাসনে কিনারা পাচ্ছিলুম না আবার ইমলিতলার মিচকে গার্লফ্রেন্ড এক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফসল আদর রে সবাই যেন কেমন মেদহীন আর মোক্ষম স্মরণীয় প্রসূতি গাভীটি জবরদস্ত  কেই বা বলতে পারে চল মন যমুনাকে তীর ছেড়ে আওয়াজের ফাঁকে ফাঁকে স্বজনের আহাজারিতে যোনির ভেতর অনন্ত মৃত্যুর ঘোরাঘুরি ; তবে, থ্যাংকস, ছিঃ ছিঃ একি বলছেন স্যার বারুদ জমে বেআব্রুভাবেই প্রকট হবার কথা


দুই

ওনার ছন্দ মিশনারি আঙ্গিকের ছিল: নিজেই দেখুন: চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, ড্রিপ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাড়ি আর ইঁদুরপোড়া খাই, এমনকি কাসুন্দি ঘুঘনি মাখা ছাগলির থনের কাবাব । গমগমে আলোয় বুকে চুসকি পেতে যে যুবতীদের তেলচিটে শার্ট পরে তাজ হোটেলে মদ খাওয়ার সম্মান  আমার। সে হয়তো দেখাবার মতন সেই সম্মান আমার নেই বলেই ! ল্যাঙটোপোঁদে নাচো যেন কেউ তোমায় দেখছে না চাইলে তোমাদের পাঁচতারা বা বুফেতে মানানোর ব্যাপারগুলোও জানি। জানি সবার সব জানা থাকে না, তাই বলে একব্যান্ডের রেডিওর মতন এক ঘ্যানঘ্যানানি ভাল্লাগে না, কাঁটাচামচ দেখে ঢঙ করি না। ইচ্ছে হলে সেটাও খাই নয়তো হাতে মাখাই। এমনভাবে গাও যাতে কোকিলেরা বসন্ত ঋতুতে লজ্জা পায় ।


তিন

ওনার ছন্দ ছিল র‌্যাপ অ্যারাউণ্ড আঙ্গিকে, দেখুন রূপোলি মাছ পাথর ঝরাতে-ঝরাতে চলে গেলে সবকিছু তোমাদের জিজ্ঞেস করেই চলতে হলে মরে যাওয়া ভালো। রবি ঠাকুরের ভক্ত না হয়েও বড় বড় টিপ, লম্বা দাড়ি আর পাঞ্জাবির ঝুল দুলিয়ে দেখানো পূজো দেয় যারা, অথবা না বুঝেও রাজ্যের বই ঠেঁসে সমঝদার হতে চায়- সে আমি নয় মনে রেখো। যদি না বোঝো, বলো, যে বোঝে সে বোঝাবে। সারা দুনিয়ার সব অচ্ছুৎ মনে করা তোমাদের ভাষায় যোগ্যতা হতে পারে, আমি ভাবি শ্বাস নেবার চাইতে বড় কোন যোগ্যতা হতেই পারে না। তোমাদের এতসবের মাঝেও যে বেঁচে আছে, সেটাই তার বড় যোগ্যতা।  আমি এখন আমার ভাঙ্গা পা নিয়ে বারান্দার রেলিং এ শুয়ে এক চোখ আভিজাত্যের ভান করলেই খ্যাত হওয়া যেতো, তবে সবাই কী আর ইমলিতলা থেকে আসে?


চার

 ওনার ছিল বাটারফ্লাই আঙ্গিকের ছন্দ, দেখুন: হে উর্বশী, ক্ষনিকের মরালকায় ইন্দ্রিয়ের হর্ষে, জান গড়ে তুলি আমার ভুবন? দরোজা খোলা আছে। আমার দাদার বাবা মাঠে কাজ করতো বলতে আমার লজ্জা নেই। কেউ ট্রেন থেকে নামবে, কেউ হেঁটে আসবে বলে কি শত্রু হবে না?  আমার কাছে আজকাল সোনাগাছি যাবার বাস ভাড়াও থাকে না, কিন্তু ভ্যানের পেছনে পা ঝুলিয়ে দিব্যি চলে যাই, তারপর ঝিঁঝি ধরা পা নিয়ে নাচি আর খোঁড়াই ! এখন যদি কেউ আমাকে দেখিয়ে তার নিজস্ব দেবতাদের জোরে জোরে ডাকতে শুরু করে সেও আসলে তফাতের মানুষ। আমার ভাষায়, তাকে থ্যাঙ্কিউ থামে গেঁথে দিই। এক জড়গ্রস্ত বুড়োর দামী মদের গেলাসে চুমুক দিলে  জাতপাত পেছন থেকে অস্ট্রিক, সামনে থেকে দ্রাবিড়,  কারো কারো বুকের মাপ ভোট-চিনীয় কারো আবার মিশ্র নীরবতার 


পাঁচ

ওনার ছিল স্প্লিটিঙ ব্যাম্বু আঙ্গিকের ছন্দ, দেখুন কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কথা রাখেনি । সার্থকতম উপহার এই শরীরকে ভালোবাসা জানাই বিভিন্ন বিভঙ্গে ও হ্রস্ববাসে ওরে চলে যাই মহাকালের ডাকে “দড়ি-কলসী” সঙ্গেই রাখবি হ্যাঁ একদম গো তুই কী একটা বলতো? কেবলই  সাবধানবাণী! সমাধানের কিছু উপায় আছে? নেই !  সত্যি এবার বুঝলাম গুড শট, তখনও জপ করেন? দারুন ! ব্যাস কেল্লাফতে । চুটিয়ে চাষ করছি সখা  রাগ ভাঙানোর গোপিনীরা কেউ নেই । জানবার মতো  কিছু নেই । ভেতরে শূন্যতা নাড়া দেয় আমারে নায়ে নিবা মাঝি কু এবং ক্যু শাসন কী উল্লাস তুমিও নিজের গা চুলকে ঘায়ের দলে ? আমি তোমার রাতের মূহুর্ত বুঝি। 


ছয়

ওনার ছন্দের আঙ্গিক ছিল সিটিঙ বুল,পড়ে দেখুন: ওগো চপল-নয়না সুন্দরী, তোলো মোর পানে তব দুই আঁখি, মম শিয়রের কাছে গুঞ্জরি ’একটু মিলিয়ে নেবেন প্লিজ চাল আর কাঁকর  একে অপরের সমান প্রমাণ হয়ে গেছে বদের হাড্ডি এইটুকুই । খুবই মুশকিল এত হাই-হ্যালো পাঠাচ্ছেন দেখতেই টনটনিয়ে উঠলো খুনি ডাইনিদের কষদাঁত গাঁড়াপোতার ফুটেজমূলক কমরেড অষ্টপ্রহর চুল্লির আলো দেখানো পার্টি নেশায় এই বাঁশ দেবার ফিকিরটা কার বাপু এক হাততোলা সাংসদ কিভাবে পুত্রবধূকে কব্জা করে রাখতে হয় আমি এখনো আশাবাদী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লাগুক লাগুক দেখে যাই তুগলক ভাইয়া একদম চাঁচা‌ছোলা হুকুম দিয়েছে উত্তরে বললুম অবধারণ অনুসরনে অভিব্যক্ত ব্যক্তিদের হতভম্ব লাগে কনকচাঁপার মত গায়ের রঙ ফুলটা জীবনে দেখেন নাই ক্যান হায়  


সাত

ওনার ছন্দের আঙ্গিক ছিল লঞ্চ প্যাড, পড়ে দেখুন আমের পাতাগুলো দুহাতে ছুঁয়ে দেখি মনে কি পড়ে কিছু, মনেও পড়ে না –তাড়াতাড়ি সাইড হউন। কালবৈশাখী এলো বলে! কে বলোতো তুমি?  ফোনালাপে আমরা দু’জনই অংশগ্রহণ করছি কিন্তু অন্য প্রান্তের যুবতীরা বুঝতো না। যাইহোক, ও প্রিয়ে, আমার অবন্তিকা, আমাদের  সবচাইতে পুরানো স্মৃতি হলো হাগু বিষয়ক, আমরা তখন অনেক ছোটো, নর্দমার ধারে হাগু করতে পারি না। ইমলিতলায়  আমাদের জন্য দু’জোড়া ইট বারোয়ারি কলতলায় বসিয়ে দিলো। বিশাল ইমলিতলাা কলতলা শেষ হইছে একটা ছোট্ট খালের পাশে , সেই খালপাড়ে মাছ ধরা দেখতুম কাতল বাচা ভেটকি কতো রকমের কবি-ভাইয়া স্বপ্নের চেয়ে বাস্তব এতো ভালো কেইবা জানতো ? প্রাপ্য প্রেমের চেয়ে বেশি পাবেন না জীবনে যতোই আপনি ভান করুন।


আট

 ওনার ছিল পিলো টক আঙ্গিকের ছন্দ, দেখুন পড়ে শ্রান্ত বরষা, অবেলার অবসরে,প্রাঙ্গণে মেলে দিয়েছে শ্যামল কায়া ;সোশ্যাল মানে কি? সামাজিক ! যখন লিখি একলা থাকি ঘুমের মধ্যে একা স্বপ্নেও তো তাই তাহলে আপনারা এখন সামাজিক ব্যাপারে উল্লসিত কেন আপনাদেরই লেখক বন্ধু খালি গায়ে আন্ডারওয়ার পরে পুরস্কার মঞ্চে হাততালি কুড়োয় তা কি ওই রঙিন জাঙিয়ার না পুরস্কারের ? দেখে ভেবলে যাই, আঁচ করে হারিয়ে যায়  পুরুষালি প্রতিবাদ। মহিলা দর্শকদের জল খসে না, বোঁটায় ফুল ফোটে না; কাম বাসনা তৃপ্ত হয় না। বসন্ত তো জাঙিয়ায় ঢুকে পুরস্কার নিচ্ছে । ওনারও স্বামী ছিল, তারই মুখের অগোছালো সোহাগে ঢিলেঢালা খাঁজ পুরস্কৃত  আপনাদেরই সদোর ভাই। নিজেকে গ্রহণ করুন, নিজেকে ভালোবাসুন এবং এগিয়ে যান। আপনি যদি উড়তে চান, তবে ভুঁড়ি কমান 


নয়

ওনার ছিল লেগ গ্লাইডার ছন্দের আঙ্গিক, পড়ে দেখুন : বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালে ।আনন্দে,কবিতায়, আড্ডায় ভেসে গিয়েছিলাম সেদিন সন্ধ্যেতে নাক খুঁটতে শুরু করেছিলেন। একাগ্রতার সাথে নাক খুঁটছিলেন, মনে-মনে মাত্রাবৃত্ত প্রতিভার নিশান । আপনি সঙ্গে আছেন তো ? আপনার ওই  কালো আঁধারিদাগ । আমার নৌকো আমাকে ইউরোপ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে এসেছিল  আমিও ছিলুম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তৈরি করেছে যে বিশ্বের এক ঝলক।  আমি যা দেখেছিলুম তা ছিল লালসার অভিশপ্ত দিন। হিন্দু ধর্মের সূর্য অথচ ওদের ধর্মের চাঁদ কেন ? ফ্যান্তাফ্যাচাং গান শুনুন এতো আন্তরিকতা, এতো ভালোবাসা আজকাল  বেশি দেখা যাচ্ছে যুবতীদের প্লাসটিক সার্জারিতে অসাধারণ বলব নাকি? কিন্তু উফ অনেক রকমের হয় ! কোনটা চাই বলুন তো?


দশ

ওনার ছিল যোগাসনের আঙ্গিকে দি ব্রিজ ছন্দ, স্মাইল প্লিজ, আপনারা প্রত্যেকেই একটু হাসুন, বিউটিফুল দিদি। বলি ? কত সুন্দর লিখলেন। দারুন বললে ভুল বলা হবে। এটি ফাটাফাটির পর্যায়ে চলে গেল। কার ফাটলো ? প্রেমিকার? বিভ্রান্তিকে ভালোবাসতে গিয়েছিলিস মাধবীলতা ? নিজেকে ভালোবাসতে হলে চোখ বন্ধ করে কানের খোল বের করার মতন আনন্দ আর নেই, না নেই, সত্যি নেই গো। কেবল তালা নয়, ছাতা, টর্চ, লাইটার, হ্যারিকেন, পেট্রোম্যাক্স  সারাই করতেন। থিম কী হচ্ছে গো দিদি ? তাই এত নাম ডাক-ওরে বাপরে বাপ !  সমস্ত দিক দেখছেন ! যে রাঁধে সে দাড়িও কামায় । যেসব নারীরা পার্টি করে, প্রেমিকা হিসাবে তারা ভাল কিনা জানেন ? পুরো জীবন, অভিনয়কে প্রেমিকার বুকে মিল্ক পাউডার মাখাবে


এগারো

ওনার প্রিয় ছিল দি অ্যাক্রোব্যাট আঙ্গিকের ছন্দ, পড়ে দেখুন :ময়ূর, বুঝি-বা কোনো সূর্যাস্তে জন্মেছ । বেঘোরে গান গাই আমি, চরণ চাটিতে দিও গো আমারে…দু’চারটে ভাবনা বৈ তো নয়।চাঁদমামা টিপ দেয়,এবং ইঁদুর মামা দাঁত দেয় লটারি কইরা ছাইড়া দ্যান  দু’একজন বাচাল না থাকলে আসর তেমন জমে না। তোরে সামনে পেলে তোর নুনু কাটা আছে কিনা আমি তাহা জনসম্মুখে চেক করব, শালা মালুর বাচ্ছা নাস্তিক ; মালটা থাকে কোথায়? নিজস্বতা বেঁচে  থাকুক। উঃ দারুণ, কি একটা অসাধারণ ব্যাপার…প্রবল ক্যালানি খেয়ে ছত্রভঙ্গ একশো বছরের বৃদ্ধের মতোই ধুঁকছে সে।দরং জেলার ঢেকিয়াজুলী থানার বরছলা মৌজার আলিশিঙা গাঁও । মিথ্যে করেও “হ্যাঁ ” বলো…শাক দিয়ে মাছ ঢাকো। বলেন তো শাক কোনটা মাছ কী কী ? আমি মেলায় প্রেমের গান  গেয়ে ফিরে যাচ্ছি 


 বারো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক হলো স্প্রেড লেগস, দেখুন পড়ে : পরির পাশে পরির বোন, দাঁড়িয়ে আছে কতক্ষণ।ওই যে বুড়ো তালিবান চারটে মেয়েকে শেকলে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে ওর পেছনে যাচ্ছে আধুনিক কবিতা । কলকাতায় হোটেলে বিউটি পার্লার নেই, আরেব্বাহ্! আনন্দের খবর। আপনার টাকে নতুন টিকি । তিনি তাঁর স্বামীর নামে আকাদেমিতে বাৎসরিক খানাপিনার ব্যবস্থা করেছেন। ছিঃ, এরা থিয়েটার করে ! এদের জন্য একদলা মধু ছাড়া কিছু নেই ! তোমাকে  ল্যাদনার মাঠে , পাঁচ বিঘায় ছেড়ে এলে আলপথ চিনে  শহর ফিরতে পারবে না কোনদিন, মার্কিন ভায়াগ্রা খেয়ে তালিবান জাগবে ; ম্যালা সুন্দর ।  উনি যে  লুটেরা পুঁজিপতি এটা বুঝলাম অক্ষতযোনি সস্তায় আলকাতরা খায় ! ওই মহিলা আর কোপ দেয়া খুনীদের মধ্যে পার্থক্য যৌনতার  সম্পর্ক রাখা । 


তেরো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক স্পুনিঙ, পড়ে দেখুন নিজে, সবারই হয়ত সবকিছু হয় না, আমার যা হয় না তা হয় না। ওগো মাঝবয়সী মাসীমা  চাইনি আমার কোনও রকম স্মৃতি তোমার  পাশ থেকে উঁকি মারুক ! হুমমমম । মাম্মি ফাইড্ডাফাডি লাগতিসো মাঝেমাঝেই পাক্ষিক ঝোলা  থেকে কুমিরছানা বের করে দেয়া হয় , তাতে ক্ষেত্রফলের  হেরফের হয় । প্রবল ক্যালানি খেয়ে ছত্রভঙ্গ, না বসতেই জানিয়ে দিয়েছেন  একছেলে ও এক মেয়ে । দুটি কিস্তিতে দিলে ভাল হোতো,  দারুন লাগলো দিদি আর আমি শালা খুচরো   দিয়ে দিতে পারলে বাঁচি। সেটা মনের ভেতর সন্দেহের এমন রস ঢুকিয়ে দেয় যে ফিরে এলে  আগের মতো ধুতুরোর আঠা থাকে না ; শালা ছ’সাতটা বিয়ে, ইনি না কী গুরু ? এর পাছায় তিন লাথি মারলে অনেক পুণ্যি হবে যা ‘সাহিত্য’ হয়ে উঠবে , তার কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই দিদি । 


চোদ্দো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক দেয়ালে যখন তুমি, দেখুন নিজেই পড়ে । আগে আপনাকে ভালো লাগত, রামবাবু, এখন আপনি বদলে গেছেন। কখনও কখনও আপনাকে কংগ্রেস মনে হত, কখনও সি.পি.এম, কখনও সি.পি.আই, মধ্যমেধার মাঝারিয়ানার  পঙ্ককুণ্ডে লঘু আচরণ নিজগুণে ক্ষমা করবেন,আছি, নছি, সর্বমঙ্গলা, দিব্য প্রতিভাতে !! নো পার্কিং জোনে  ইন্দ্ররাজ্য মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার মত নিজস্ব বিষয় এটা ? খোলাবুকে টুপটাপ চুমু পড়তে থাকে আলুলায়িতা জীবনের ! কাঁকডা়য় কামডে় দিতে পারে ! ভোলে-ও-.ভোলে !!  প্রেম করার সময়ে বীর্যে লেড, কপার-অক্সাইড আর লিথিয়াম এর মতো নিষিদ্ধ কেমিক্যাল চেক করে নেবেন ; এটা মিথ্যা সেটা কোন মিথ্যুক বলেছে, অ্যাঁ ? লাটাগুড়ি জংগলের মাঝে হঠাৎ তীব্র আওয়াজে নদী দাঁড়িয়ে গেলো। লাইনের উপর তিনটি সমুদ্র । 


পনেরো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক রাইডিং দি হর্স, পড়ে দেখুন, দেরি করে যে এসেছে, ইচ্ছে করে ভালোবাসি তাকে। আগ্নেয়গিরিটিও চেনা আমার, ওর লাভায় নীলচে  রূপ…আপনার হয়ে গেলে জানাবেন…উফ থামো না। আমার জামাই বলেছে, এই জীবনে তুমি আছো তাই যথেষ্ট । পরকালে  তোমাকে দরকার নেই । কাফের না হলে পরকাল হবে না । আমিও তো জনি জনি ইয়েস পাপা আর অন্যান্য ভাইয়াদের দেখতে চাই। তাই মিউচুয়ালি সে একজনকে নিয়ে থাকলে আমি অন্যকে । উনি বলেছেন তথাস্তু ! জীবন সুন্দর ! যারা মনে করেন দাড়ি রাখলে সরকার গদিতে বসতে দেবে তাদের চটিতে সেলাম করুন । টেপবার ভোঁপু সাইকেলে  কেন থাকে  জানিনে। ফিল্মস্টারের গালের তৈরি রাজপথে আনন্দ চান না 


ষোলো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক গ্রিজলি ভাল্লুকের দাঁতাল, পড়ে দেখুন, জানো এটা কার বাড়ি? শহুরে বাবুরা ছিল কাল, ভীষণ শ্যাওলা এসে আজ তার জানালা দেয়াল । গোঁসা করি না, প্রতিক্রিয়া দিই না, গাজোয়ারি করি না । আপনারা আর যাই করেন নেক্সট টাইম কেউ  উপদেশ দিতে আসলে জাস্ট খবর আছে। আমি খুব নিচুতলার অন্ত্যজ পাড়ার সাধারণ নোংরা লোকেদের  কাতারের মানুষ। ছ্যাবলামি, দুই নাম্বারি, ডাবলস্ট্যান্ডার্ডপনা, বাজারের আগুন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মকে বাজারে ফেলে গিট্টু মেরে দেয়া ইত্যাদি নিত্য যা ঘটান  গায়ে আগুন জ্বলে। এই তরল আলকাৎরায় আমি গলা পর্যন্ত ডুবে  কুরুক্ষেত্র দেখছি ।  অত্যন্ত দরকার । তবু বলি, যারা করে  তাদের অকাদেমি জার্সিতে রঙ পালটালেও নম্বর চারশো-বিশ থাকুক।


সতেরো

ওনার ছন্দ আফরিকার একলষেঁড়ে হাতির আঙ্গিক, নিজেই দেখুন পড়ে, আজকাল মেয়েরা অনেক ফুল কেনে। মেয়েরা অনেক ফুল খোঁপায় সাজায়। কিন্তু খোঁপা থেকে ফুল তুলে নিয়ে কার হাতে দেয় তারা? কবে দেয়?একটা শব্দ আছে, যার অর্থ বৈচিত্র্য । কারোর  খোসা ছাড়ানো থাকবে ইহুদিদের মতন কারোর আস্ত খ্রিস্টানদের যেমন । তার নিগূঢ় অর্থ বালির কণা সংস্কৃতিকে ঢুকে গেলে জীবন বরবাদ । বাতাসে   শিখতে না পারলে আপনি নিজে সমাজের জন্য ফালতুমানব । এইটা মাথায় রাখবেন। অন্যের স্বাধীনতাকে গিলে খাবার ধান্দায় আপনি নিজেও কি স্বীকার করে নিচ্ছেন না, যে  খোসায় বালির কণা অপ্রয়োজনীয়। তাহলে ফ্যাসিবাদ-ফ্যাসিবাদ বলে চেল্লাবেন না। কারণ আপনিও তো ফ্যাসিস্ট !


 আঠারো

ওনার ছন্দের আঙ্গিক প্রাইডের সিংহের সারাদিন বসে, নিজেই পড়েন, সে-দেশের একটি মানুষ অনেকদিন কবরের নিচে শুয়ে আছেন, কিন্তু তিনি কখনাে ঘুমােন না, পাহারা দেন, এক পয়সার তৈল কিসে খরচ হৈল তোমার মাথায়, আমার পায় আরো দিলাম ছেলের গায় বড় মেয়ের বিয়ে হলো সাতটি রাত কেটে গেল একটা চোর ঘরে এলো বাকিটুকু নিয়ে গেল ! সরকারকে একটু বলতে ইচ্ছা করছে, ও ইয়াহ্ বেইবি ! সত্যিই রে কেনো যে মনটা ছোঁয় ! হট মামনী, পিরিয়ড কবি, কবি দাদার আবার স্বরূপে আবির্ভাব !  ধর্ষণ সাহিত্যিক, সূর্যের আলোর ছিটেয় মনোরম দেখাচ্ছে মেকাপ আর্টিস্ট, অভিযোগ করলে আমায় যথাযথ প্রমাণ চাই । ফ্রাস্টেটেড ফড়িং, ভালোবাসা নিও, ডিপ্রেসড চামচিক, কোন নেতাদের খারাপ লাগে মাফ করবেন মেরুদন্ডহীন 


উনিশ

ওনার ছন্দের আঙ্গিক স্টাড বাইসনের হুংকার, পড়ে দেখুন, মায়ের সঙ্গে ঠোঙা বানায়, বিকেলে খেলে খো খো, বনগাঁ থেকে বার্লিনে যায়,সাধ্যি থাকে রোখো।কাকিমা,সঠিক মূল্যায়ন দিন, নারীর স্পর্শকাতর অঙ্গ নিয়ে কবিতা লিখেছেন বেশ করেছেন। রাগ করব না কথা দিলাম মুসুরির ডাল পাক করো রে, কাঁচামরিচ দিয়া, গুরুর কাছে মন্ত্র নিও ফাঁকা ঘরে গিয়া ; কী ভয়ঙ্কর ! জিলাপির প্যাঁচ দেয়া ভূত চাই ! কাঠিবাজ টিকটিকি, একে ভালোবাসবো, হ্যাট বয়ে গেছে !  তাই মাঝে মাঝে রাগ হয় পৃথিবীর বুকে সবাই সিঙ্গেল্৷ পরকীয়া প্রেম হলে হবে। আগে এসেছিল একবার প্রেম পিটুইটারির গেম, দেহশিল্প। এইজন্য গান স্ফুর্তি নাচ রঙধনু রংমহল খালি কার্টেসিটা দিলেই চলতো । রাজনীতিকরা চোরচোট্টা  সেলেব হইয়া যাইতেছে হে প্রভু !  খুঁজে পাচ্ছি না ভাষার তোরঙ্গটা শশুরবাড়িতে ফেলে এসেছি এই নাকি রাস্তার রঙ? 


কুড়ি

ওনার ছন্দের আঙ্গিক শালিক পাখির ফুরফুরে, নিজেই পড়ে দেখুন, মহাসাগরের নামহীন কূলে হতভাগাদের বন্দরটিতে ভাই, জগতের যত ভাঙা জাহাজের ভিড়! রাস্তায় ! মানে কি? ‘গিভ মি মোর’ কিংবা ‘লিভ লাইফ কিং সাইজ’। মাইনের  বাড়তি টাকা পার্টির চাঁদা দিতে হয়েছে । কি পাতা ফোঁকেন দাদু ? পাট ? লাউপাতা,কচুপাতা পলতা নলচে ! শুঁটকি-পাট্টির একজন সনামধন্য মহিলা টিপতে চাইলে বাধা দেন না ।  অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম, কি অসাধারণ সুন্দর দিদি আপনাকে দেখতে অথচ পঞ্চাশ পেরোলেন । ট্র্যাশ পাঠালে এমন অবস্থা তো হবেই তোমরা মানো আর নাই মানো দেশটা এগোয় আর পেছোয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর স্ত্রী কুচুটেময়ীর খুব প্রিয় ছিল এই লইট্টাঝুরো, সাজবার সময় তিনি রোজ একশো লইট্টামঞ্জরী কবরীতে গুঁজতেন। কিন্তু এটাই কি যথেষ্ট ? উঁহু ! মনে তো হয়, না বড্ড কষ্ট হয় মানুষ কতটা পাল্টাতে পারে দেখলে অবাক হই না 


একুশ

ওনার ছন্দের আঙ্গিক সমুদ্রের হাঙরের, বিশ্বাস না হয় তো পড়ে দেখুন, মুক্ত করে দিনু মোর রুদ্ধ দ্বার বন্ধ বাতায়ন, এস দৃপ্ত প্রভঞ্জন । হা হা হা হা হা হা হা হা (একটি আট মাত্রার হাসি), ভালো লাগলো দি, তোমার মিষ্টি সোনপাপড়ি কবিতা । বেশ্যাপাড়ায় দেখেছি, অন্যের কাছে, মহাবিশ্বটি শালীন বলে মনে হচ্ছে কারণ শালীন লোকেদের চোখের পাতা নেই । যে বোঝার সে ঈশারাতেই বুঝে যাবে,  এ কারণেই তারা সবাই ব্লাউজ ম্যাচিং শাড়ি পরে । অনাড়ম্বর, ভীরু মোরগের ডাকে বা স্টারি আকাশের নীচে যখন ঘুরে বেড়ায় তারা কখনই ভয় পায় না। ব্যর্থদের অভিজ্ঞতার পাল্লা কভু খোলে না। কংক্রিটের ভাগাড় হাড়-বেরুনো খেজুরে আলাপের ব্রজবুলি, যার জন্ম মৈথিলি ডাইনীতে যেন ঝামর চুলো, তাছাড়া আমার বউ নেই, গা শোঁকার মতন ছয় মাত্রার তাল দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চে যান।


বাইশ

শ্যামাসঙ্গীতে আছে ? কিন্তু কালীঠাকুর কবে এলেন  এই যে অন্নদামঙ্গলে ঈশ্বরী পাটনী অন্নপূর্ণার কাছ থেকে প্রার্থিত বর চাইলেন ? পাটনীকেও আপনি-আজ্ঞে ! সে সময় তোরাই তো পাশে ছিলি। চিকেন পকোড়া দেখতে দারুণ হয়েছে তার মধ্যে তো হৃদয় নেই। বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও তখনকার সেই গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল। বহু আগেই কোটি কোটি পুরুষ বিচি কাঁধে তুলে সোনাগাছি  রওনা  দিতো৷ মাতলা নদী মাতাল হলে সব শেষ, এর জন্য পুরো সমাজদর্শনটাই কী দায়ী নয় ? ক্লাস ক্যান্সেলের একটা পোস্ট দে, অথবা কাকের পটি আপনার মাথায় এসেও পড়তে পারে। সেটা আপনার ব্যাপার। সবাইকেই পাশে পাবি, জমজমাটে জাঁকিয়ে ক্রমে সাধারণভাবে, লোকেরা “দেহের আনন্দগুলি” কেবল এই শর্তে গন্ধ পায় যে তারা নির্বোধ। কেন ভয় লাগে ?  দিন দিন গুন্ডারাজকে তোল্লাই দিচ্ছে কলাকৈবল্যবাদীরা।


তেইশ

আমেরিকা মুজাহিদিনদের ভায়াগ্রা দিচ্ছে বলছে সংবেদনশীল হতে হবে । তবে তোর বাংলাটা চমৎকার হয়েছে। পুরো ফ্যাব !! —-তুই সিরিয়াসলি প্রেগনেন্ট ! যার বাচ্চা সে জানে ব্যাপারটা ? বাহ, বেশ ভাল খবর। জনপ্রিয় প্রসিদ্ধ কালোযাদুর কবি বেটা শয়তান এখন ধুঁকছে পাঁজর, অসাড় আঙ্গুল, জ্বরের শরীর সামলে হামলে কবিতার ঘোড়া দাবড়ালে ; বাঙালি এইভাবে শেতলাপুজো বিশ্বকর্মায়  মেতে উঠেছে তাই ভাষা অত নরম মোলায়েম তো হবার নয়। আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত ভালোবাসা জন্মায় লোকটাকে দেখে তবে গৃহপালিত ষাঁড়, মহিষ, গরু ও ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । আপদ কতগুলো পোড়া কপালে। এ হেন চরম কালচারাল পাড়ায় এটি অতিকথন। গাধার গায়ের রং সত্যিই আমার পছন্দ  কিন্তু হোসপাইপ ঝুলিয়ে আগুন জ্বালাতে ছোটে, ধোপাকে মানে না। 


চব্বিশ

আর নাচের সময় হালকা মেকআপ করবেন । ছি ওসব বলতে নেই। ওঁরা দেবদূত, আংকেল বয়সী এক ভদ্রলোক জাস্ট যিশুখ্রিস্ট ওহে পবিত্র , ওহে অনিদ্র নাগলিঙ্গম কাজ চলছে ! জোর কদমে আত্মবিধ্বংসী শিউলিতে উৎসব রঙিন আরো কত্ত অজুহাত বাঁকড়োর মরদ, চিৎপুরের মাগি বলে গালি যে তৃপ্তি আছে হে শাসক কাঙ্গালিনী না কচু পরীক্ষার হলে বুকের দুধ গড়িয়ে পড়ে নারীর অতিগভীর ভালোবাসা বিহনে কলকাতা মরে যাচ্ছে তবুও ভোজবাজিতে নিজেই পকেটমানি জমিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে গেলে একটু ভেবো প্লিজ আতিপাতি করে গরররররর ঘাই মেরে পুকুরের বাশঁ বাগানের মাথার উপর দিদিমা তোমার বয়স হয়েছে তো গুরুঠাকুর রিল্যাপস করেছে দাদু শোনো দিশাহীন  অনির্দিষ্ট প্রেমে জীবনীমূলক মালটা কে ?


পঁচিশ

জানেন ? আসলে কী করলে বা কেমন হলে তোমাদের সাথে চলা যায় ? ভালোমানুষ হলে ? ভালোমানুষ কাকে বলে ? যারা স্বমেহন করে না ? যারা নামকাওয়াস্তে সৎ পথে চলে, আদর্শের বুলি কপচায়, কাঁটা চামচে ভাত খায়, কাদা দেখলে নাক শিটকোয়, সুন্দর কবিতা লিখে, সুন্দর করে খাবার পর সুন্দর করে ঘুমায়, বন্ধুকে সাক্ষী রেখে প্রেম করে, প্রেমিকা বা প্রেমিককে ধোঁকা দিয়ে সংসার করে বা রুটিন মাফিক জীবন চালায়? তবে তো বাবা দয়া বা দাক্ষিণ্য যা করেই হোক তাকে স্বর্গে থাকতে হবে। কলকাতায় এসব চলবে না, চলে না। কলকাতায় নষ্ট জীবন, ফেলে দেয়া টিস্যুর অভাব নেই। তারা আমাদের সাথে পেরে উঠবে না, জিভ ক্ষয়ে যাবে। এই যে সারাক্ষণ জ্ঞানের কথা শুনছি, বলো। কবিতার মাত্রা, ছন্দ, অক্ষরবৃত্ত মেলাও। তাঁর বাবার নাম কেশরী, মায়ের নাম অঞ্জনা  পালক বাপ হলেন পবন দেব কলকাত্তাওয়ালা। 


ছাব্বিশ

বলে দিচ্ছি। পরে যেন বলতে এসোনা, আগে কেন বলিনি। আমি তো নরক পার্টির মানুষ। বাবা মাকে অমান্য করে ছোটবেলায় গাঁজা ফুঁকেছি তাড়ি টেনেছি লুকিয়ে কিচ্ছু করিনি, নষ্ট হয়েছি তা নয়। সমুদ্রের জোয়ারে নেমে হারিয়ে গেল যুবতী। কেন? বন্ধুরা পরস্পরকে চুতিয়া বা গাণ্ডু বলি কারণ হাইপারসনিক রকেট  সায়েন্স জানা আছে । কফিহাউসে গিয়ে শিখেছি । কাঁঠালে ঘুষি মারলেই বড়কা-ভাই হওয়া যায় না, বাবরি চুল দাড়ি আর পা পর্যন্ত আলখাল্লা পরলে রবিঠাকুর হওয়া যায় না। ঋতুরক্তে মাখামাখি গান গাওয়া যায় ? চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে,  বক্ষে ধরিব জড়ায়ে স্খলিত শিথিল কামনার ভার বহিয়া বহিয়া ফিরি কত আর– আমিও বুকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলুম স্যার কিন্তু ভুতের রাজা পারমিশান দেয়নিকো । 


সাতাশ

অপরেরটা তর্জনী দিয়ে টাচ করে  বেরিয়ে যাও, অজহুনের দিকে তাকিও না; অপরেরটা টাচ করলুম নিজস্ব উভয়ের জন্যই অনিরাপদ কিন্তু কেউ না কেউ তো জোর করে ঠোঁটে ঠোঁট ঢুকিয়ে চুমু খাক, একটু জেদ করুক, ঘ্যানঘ্যান করুক, দাও দাও বলে চিলের ডানায় কেঁদে ফিরুক ? এবার মরলে কাক-জোৎস্না হব সান্ধ্য ঝিঁঝিদের অবাকপনা অশৌচ-এর সময় মনের ভাবনা নিংড়ে অপ্রত্যাশিত চুম্বন চেয়েছিল প্রাক্তন বিপত্নিক । এমন মানুষ নুলোদের হাতে গোনা দুই একজন, মুখে মিষ্টি  টেনশনের চোটে পেটের ভাত চাল হয়ে যায় অন্তর্বাস বিষণ্ণ হয়ে খসে পড়ে বিজ্ঞাপনের জোরে  ছাগলের মত চেতনা একই সঙ্গে রহস্য, যৌনতা, রাজকীয় ইতিহাস, ধর্মীয় আবেগ, অন্তঅনুপ্রাস, ছন্দ উনি এককালে আকাট আঁতেল ছিলেন, অ্যাঁ ??? ক্কীঈঈঈ ” ???? আমরা আমাদের পিতৃপুরুষের উত্তরাধিকার নিয়ে জন্মাই, রেগোনা প্লিজ, নতুন বউ, শাঁখা সিঁদুর নেই, বোরখায়  ডুব দেয়ার আগেই গায়ের আরবি রঙে টাচ করে চলে যাও।


আঠাশ

অপরুপা শালগাছ, তোর শাড়ি খোলা রুপ আমিও  ভালবাসি ! থ্যাংকস দাদা আমার মেমরি কম অপরূপ শব্দঝংকারে বিমোহিত হই ঐতিহাসিক বস্তুবাদ থেকে তৈরি কবিতায় । আলহামদুলিল্লাহ। মানে কী ? আমি দেখি, পেট চেপে রাখি, কি হবে বলে সুখ ভোগ করার কায়দা করতে গিয়ে প্রেমিকের হাঁটু লাল সুরকিতে ছড়ে গেছে কেনা তাঁর পাছা সত্যিই একটি অকাদেমি পুরষ্কার  – তার গায়ে হাত দিলে  ক্লান্তি ক্ষমা করে দেন প্রভু চাঁদ সদাগর কেন  চাঁদবেনে হয়ে গেছে ?  তখন কালাপানি ছিল না বলে সম্ভবের রঙ্গমঞ্চ নামের ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা সর্বলোকে হাসে শুনে তবে আমরা প্রেমিক হিসাবে দেখা করিনি, শান্ত মেজাজে আরও প্রাণীর মতো, একটি ক্লিয়ারিংয়ে  জঙ্গলের ট্র্যাক ধরে এগিয়ে গিয়েছি জুলিয়াস সিজারের হত্যা দেখতে।


উনত্রিশ

 ‘সহি নারীবাদ’-এর প্রবক্তা, মনে করেন পুরুষ মাত্রেই পিতৃতন্ত্রের ধ্বজাধারী আর মিসোজিনিস্ট সুতরাং আমরা প্রিলিমিনারি ছাড়াই প্রেম করেছি – আমি তার মধ্যে চুপ করে যাওয়ার আগে ত্রিশ সেকেন্ডও কেটে গেল না। ভোটের আগে গুরুগম্ভীর মিটিং হত, কেন ফলস ভোট দিতে হবে। জামা পাল্টে আঙুলের কালি মুছে, কখনও বোরখা পরে, জুতো পাল্টে ভোট দিতে যাওয়া। পার্টিকে জেতাতে যে কোনও অপরাধকে মেনে নেওয়া শুধু নয়, নিজেই অপরাধী হয়ে ওঠা। আর তা মানুষকে নৈতিকভাবে কতটা অধঃপতিত করে তা নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি।  আমার নিজের ওজনের সাথে মেলে ওঠার জন্য তার দেহের পৃথক ভঙ্গি এবং বিচারের এক মাত্রায় সংগৃহীত তার জীবন – এই মুহুর্ত পর্যন্ত তার জীবন আমার নিজের সমান, ভাল থেকে ভাল, খারাপ থেকে খারাপ, আমার নিমজ্জিত দৃষ্টি যৌনতার চক্ষু বাঁশগাছ আমি একটা বিয়েতে কাৎ 


ত্রিশ

পারছি না, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা। এ আবার ছটা বিয়ে!  ছোট থেকেই দেখে আসছি যতোই দর্পণ বিসর্জন হয়ে যাক না কেন। দেখতে হলে খরচা আছে ভালবাসা এবং হারিয়ে যাওয়া ভাল আমি বিশ্বাস করি মুহূর্তটি নিকটেই আছে বলি ও সেজ বউ, শুনছো, তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু বাছা তোমার নাম না জানলে আমি নিই কিভাবে ? আমার প্রেমিকের তিনজন বউ। আমার মা তার মেজ বউ। তারও নাম খুন্তিশ্বরী। আমি তার ছোট বউ, নাম বগলেশ্বরী তো জানোই বাছা। আমি নেতিধোপানি, নেতলসুন্দরী ইত্যাদি নামেও পরিচিত তা তোমাকে কী নামে ডাকবো বলতো? দানাওয়ালারা দেনেওয়ালা  আজ আশমানি মেয়ের জন্মদিন । জানি না মেয়েটির আসল নাম । জানি না সে শেখ, সৈয়দ, খান -- কোন বাড়ির । হায়। 


একত্রিশ

আপনাদের সতীচ্ছদ ছেঁড়ার ঘটনা বলবেন ? বড্ডো ইচ্ছে করছে শুনতে। ব্যাপারটা কি নৈতিকতার ?  যখন যুবতীদের নৈতিকতা সম্পর্কে শেখানো হয়, তখন প্রায়ই সহানুভূতি, দয়া, সাহস বা সততার কথা বলা হয় না। বলা হয় সতীচ্ছদ বা যোনিচ্ছদ নিয়ে । আমি বাবার সঙ্গে আরব দেশগুলোতে গেছি । সতীচ্ছদের দেবতা আরব দেশগুলোতে জনপ্রিয়। আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বা গোপন নাস্তিক হন, কোন ধর্মের তা বিবেচ্য নয় - প্রত্যেকেই সতীচ্ছদের দেবতার পূজা করে। সতীচ্ছদ - যা সবচেয়ে অপলকা অংশ, যার ওপর কুমারীত্বে।জানি আজকে তার চাউনির জন্ম হয়েছিল, ছোঁয়ার জন্ম হয়েছিল, হাসির জন্ম হয়েছিল । হ্যাঁ, কান্নারও । তাকে কখনও দেখিনি । কেমন করেই বা দেখব । সে তো আশমানি । সে তো অধরা । তবু দেখতে পাই তার পায়ে হাওয়ার নূপুর, শ্বেতপদ্মের গুঞ্জরিপঞ্চম, বেলিফুলের পাঁজেব । দেখতে পাই তার ঢেউগুলো


বত্রিশ

পর বলেই সে ভাগলবা প্রেমিকের বুক অশ্বশক্তি  যেমন ভেতরে যে আরো কী আছে !! ইস কি যে মজা এটা ঠিকঠাক একদিন সব ছেড়ে ওখানে ঢুকে যাবো..সাথেসাথে খেলায় টানছি । এরপর হা হা হা.. লাগানো নিয়ে প্যাঁচাল নইলে মরে যাবো….এত কাঁদাস কেন ভুলভুলাইয়া ?  ধ্বংসলীলারও মূল সূত্রপাত এটাই । এটাই , অন্তরের জ্বালামুখী প্রদাহে কষ্ট পাই, অপেক্ষাদের পোড়াতে হয় ; এক কথায় যদি বলি ভালোলাগল বৈষ্ণবীয় আখড়ার পুচকুর হাত্তালির সীমা শর্তানুযায়ী বউ পা ভেঙে দেয়,  জন্মগত ভাবেই কেউ কেউ নিজের চরকা নিয়ে জন্মায়। আপনি যদি কারোর জীবনে দুর্যোগ হয়ে দেখা দেন তবু তা  উপভোগ্য হবে , আপনি  দুর্যোগ হলেও আপনি আমার দেখা সবচেয়ে পুরুষ্টু যুবতী, তুলতুলে, গুলুগুলু। ভিতর থেকে নিজেকে ভাঙচুর করবেন না । আমার স্বপ্নে একদিন আসুন।


তেত্রিশ

তারপরে কেরোসিন, স্পিরিট, ডিজেল, গ্রীজ, তাও না পাইলে সয়াবিন ত্যাল সহ যা যা মনচায় ড্রামকে ড্রাম ঢালতে থাক, কার কি ! কালো জলে কুচলা তলে, গ্রামের ছেলের নিজের বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিকতা এখনও হয় নাই। “খুলে রাখা ক্লিভেজের দিকে তাকালে” ;  কবিতায় নায়ক নয়, মলয় রায়চৌধুরী এক খলনায়ক। গাণিতিক নির্দেশনায় প্রচন্ড দানবীয় তিনি হতাশ হন নীচু, কৃষ্ণ, মাটি তার অতল গভীরে ; ময়ূর বা ময়ূরী মধ্যে সাক্ষরতা হয়। লালসার কোনও গন্তব্য নেই, তা একটা ফাঁকা চরাচরে পাক খাওয়া ।  কিছু পুরুষ 

 আর বউরা কুকুরের মাংস খায় নাগা হয়ে যায়

কেবল এই ধরনের যাত্রাকে ভালোবাসে আর গন্তব্যের কথা চিন্তা করে না। প্রেমও যাত্রা, মৃত্যু ছাড়া কোনো গন্তব্য নেই এমন  যাত্রা, আনন্দময় । 


চৌত্রিশ

দিনশেষে আমাকে একাই লড়তে হয়েছে, প্রতীক্ষায় থাকে তারা ; সকলের তো আর হ্যাংলা প্রবৃত্তি থাকে না। তাই না? অনেকেই  মিলে শিল্পের ধ্বজা না উড়িয়ে ,একান্তে একক প্রচেষ্টায় সারা জীবন শিল্প সাধনা করে শেষে মনে মনে হতাশ হয়ে উন্মাদ  হয়ে যায়, বেচারা । এর মধ্যে ফৌজদারি আদালতে পাচারকারীদের বিচারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। যে তোমার সহোদরা ; আর  তুমি , লঘু – ডানা অরণ্যের পরী , সবুজ বিচের মধ্যে রক্তগোষ্ঠী যাদের লাল পাতার উপর তুষারে ; গাইলাম তাই ঐ গানটাই ফের একবার, ‘হবে আর কী? সবাই আমাদের অদৃষ্ট এরপর সবাই চটি চাটতে যাবে কিংবা জুতোর যুগ ফিরে এলে ভোলে-ও-ভোলে  প্রেম এক বিপজ্জনক ব্যাপার, তা আমাদের জীবন পালটে দেবার  জন্য বহুরূপীর বেশে আসে । পলিগ্যামি?


পঁয়ত্রিশ

গেয়ে যাচ্ছো গ্রীষ্মের সঙ্গীত ৷ তারপর বললো পাতা হ্যায় আন্টি হামারা ছয়গো বিবি হ্যায়। আমি বললাম হাতের তালুতে দু-এক ফোঁটা জল নিয়ে নারী বশীকরণ কালী মন্ত্র: ওঁং হ্রিং হ্রিং রিং রিং কালী কালী স্বর্বশক্তি মহাকালী করালবদলি কুরু কুরু স্বাহা ;যে কেনো যুবতী মেয়েকে নিজের বশে আনার কার্যকারী মন্ত্র: কঅআটাআআআ? আমার পোঁদ চড়ক গাছ। আমি একটা বিয়েই সামলাতে রাত জেগে চোখের কোলে কালি।  তারপর যখন বউয়ের কাছে কানমলা খেয়ে বান্ধবীকে টা টা বাই বাই করে দিলো তখন জাস্ট না-মর্দ মনে হয়েছিল। ভাই, যখন বউকে বন্ধু শব্দের মানে বোঝাতে পারিস না তখন বন্ধুত্ব করতে যাওয়া কেন ? পরকীয়া কেনই বা করতে যাওয়া বাপু। তারপর নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে।টাইগার জিন্দা হ্যায় দেখে সালমান খানকে  ইলিশ পাঠিয়েছেন।


ছত্রিশ

দিয়েছিনু দিদি ; সখি ভালবাসায় কারে কয়?আহা! দুর্দান্ত ওয়েদার।এই বৃষ্টিতে কোলকাতা ঘুরছি বাস্তবতা স্বপ্নের জগতের চেয়ে আরও বড় মায়া। রামপ্রসাদ একাই  সকলের গাঁড় মেরে দিতে পারেন। লৌহপ্রাচীরে ছোট একটি ছিদ্র রেখে দিন।

পৃথিবী ঘুরতে মুঞ্চায় না সরি... হুম হুম... আচ্ছা... ও ! বিপণনের ও কৌতূহলের ওয়াও ! কত গর্ব হয়! সিগারেটটা ধরিয়ে ফেলুদার আছড়ে ভেঙে গেল আকাশছোঁয়া শৈশবের প্রিয় নদীতে মৃত শুকনো হলদে পাতার লাইনগুলো নিস্তব্ধে পিতৃপুরুষের নাম ভাঙিয়ে বন্ধুরা আসুন লেজের তুলনায় কুকুর শক্তিশালী । কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী, সন্তোষী, শেতলা মনসা হাজির সবাই, শিশু মানেই বিছানায় হিসু অফিস, মিটিঙ, কফিহাউস পাড়ায় পাড়ায় কবিরা জানে ওদেরই বংশধর মুখে পেচ্ছাপ করে দেবে ! 


সাঁয়ত্রিশ

হয় তুবড়ি জ্বালিয়ে অন্ধকারের ছররা ওড়াও শুক্রকীটের স্ফূলিঙ্গ সব ছবিতে যুবতীদের যৌনাঙ্গ ঝুলিয়ে পিকাসো ফিরে গেছে গোয়ের্নিকা আঁকবার ব্‌উ বদলে একে একে ভিজে যায় নাভি-নিতম্ব ; গজগজাতেম গজাতে তিতলীর কোলে  কেন পাগলামি, ভন্ডামি বলে বার বার দমন করা হয় ঠোঁট যেখানের জামাও  সেখানের উপুড় করায়ে দেখেছি নিচে একদম নগ্ন চাঁদ উঠেছিল পরে আর হবে না উনি আমারে এক ঝটকায় ড্যানা ধইরা টান আজকালকার পোলাপানদের নিকটবর্তী ভিজায়ে রাখো চুম্বন রসে কালোত্তীর্ণ বীর্যের শুক্রতমসা জয় মা গৌরাঙ্গিনী । বিশ্বাসঘাতক বার্ধক্য আর কেউ নাচতে চাইবে না আমার সঙ্গে বেঁচে থাকার খারাপ হুমকি. জীবনের জন্য নাচের জন্য আমাদের ভিতরে খুব বেশি সঙ্গীত অবশিষ্ট নেই আমার হাঁ-মুখ জুড়ে।


আটত্রিশ

বেরিয়েছিল শেয়ালের সারবাঁধা ল্যাজে ঢাকা অপ্সরাদের খাজুরাহোর মাংসল পাথর এই মুড়াগাছার পুতুল টাইপের ডিভাইন মানবী পুতিনবাদী-শিজিনপিঙবাদী লিবারেশান গোষ্ঠীর অধ্যাপক শামীম খান্নাস রেপ করেছিল ।আপনারা এমন ক্যান? আপত্তিকর মাইয়া বলতাছস– ব্যাকসাইডে খাউজানি, বসতে পারতেসে না মনে হয় ।  তরা হইছস কী দিয়া বাপু মাঝেমধ্যেই ডগিস্টাইল প্রিয় হয়ে ওঠে মানব কল্যাণের স্বার্থে জি-স্পটে অসাধারণ মোহনা আপনে একখান দুর্দান্ত মাল দিদি উনাদের বাইরেও ভালোবেসে সখী আপনি এত কিছু কেমনে দেহেন ? জয় হোক আহা!!! ভয় পান, ভয় পেতে শিখুন, ভয় পাওয়াটা দরকার, ভয়ে সিঁটিয়ে যান, সময় হয়েছে ভয় পাওয়ার শুয়োরের বাচ্চারা বলে মোম গলিয়ে লোম তোলা  ও বউ একটু  ত্যাল দে, ধন্যবাদ ম্যাডাম ইসস ভালোবাসা দিতে পারা ও নিতে পারা আনন্দ খ্যামা দে মা ! 


উনচল্লিশ

বোকাচোদা যদি ভুল করে থাকি ক্ষমা করবেন। পররাষ্ট্রনীতি আকুতি কে উপেক্ষা আমার রাতে শোবার আগে খাউজানি এতো হইলে মলম লাগাইলে হয় ছোঁয়াছুঁয়ি করা দায়সারা চুমু খাওয়া ওই হুলুস্থুলু নারীকে যতটুকু করা যায় কাঁচকি মাছের ঝোল আর চচ্চড়ি আমলকি-জামলকি ফলের রস মাখিয়ে উন্মোচন হয়ে যাক ওই গামছা  ডিকহেডেড ?????????? করে ক্যাম্নে ম্যান! মাদি না মদ্দা? ঘটনা কিতা রে? তোদের মা-বোনদের’কে চুদে খুন করে দেছে লাছ পাঠাচ্ছে ছেদিকে তোদের খাড়ায় না কেন রে ছূয়োরের দল। এর রহস্য অম্লান। শান্ত হয়ে দুজন দুজনের কথা কবে শুনবে উকুন ও খুসকি দূর করতে মাথায় খুল্লাম খুল্লা আগুন উইঠা যায় লণ্ড মেঁ কুছ জাদু হ্যায়, নয়ত তারাও সেটাই চাইছে আপন ইস চ্যুত মেঁ হামেশা ছূপা কর রাকখুঁ মেরি তকদির মেরে সাথ না দিয়া জালিম আপনাদের 


চল্লিশ

গোগায় অনেক কারেন্ট আরও একবার প্রণাম কেন গোওওওওওওওওওও? নিজেকে অপরাধী লাগে মাইরি আমাদের ছিটেবেড়ার ঘরে জেলখানা মাতৃগর্ভের মতো প্রেমিকের লিঙ্গ এবং প্রেমিকার বুক, কইষ্যা ধইরা  দেখেন নাই রিক্সায়, বাসে কিছুই করেন নাই? মাক্কলী ! ভালোবাসা ভালোবাসা এত পোজ জানো তুমি পুরোহিতদের বর্জন করাই ভালো…ডাস্টবিনের পচা গন্ধ ব্বেরুচ্ছে এই সমাজে মাক্কালী মাল্লক্ষ্মী জোর লাগাও হেইও, আউর থোড়া হেইও , ব্যোম ব্যোম সেক্স অবসেসড সস্তাচিন্তাবিদ দারুণ উপলব্ধি কিচিরমিচির আমি আর হাগবো না, আই কান্ট ওয়েস্ট মাই গোল্ড, মাই প্রাইড, আমার সোনা, আমার অহংকার বিকৃত যৌন লালসায় আচ্ছাদিত মানুষরে উষ্টা মাইরা বাইর করতেসেন কচ্চি মাইয়া ওর ভাল্লাগসিল, ও করসিল লেখা বিক্রি করছে আর নিজেকে বলছে শ্রমিক আরে তুই 


একচল্লিশ

রাস্তায় ঘোরালো ঘনীভূত নির্যাস নিশুতি থমথম কী  করতুম ? স্ত্রী লিপস্টিক মেখে সুইসাইড করেছে। আলস্য ছাড়া পুরুষের জীবন অর্থহীন । চাই চাই চাই, তার  আফটার এফেক্ট ভাপাইলিশে, জলদের গায়, সংকেতস্থলে দাঁত কেলিয়ে হাসে মহাকাল চড়ুইভাতি, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেশ একটা মারপিট হলো ভীষণ আপ্লুত একদম দমাদম মস্ত কলন্দর রাতদুপুরে কিসের নৌবিহার ? কিন্তু কই কিন্তু ? পাতালপুরীর অজানা কাহিনী কিছুই হচ্ছেনা মাইক বাজিয়ে কেত্তনের আসর গলা টিপে ধরেছে ?? দেখছিলাম বাতাসের তাণ্ডব । অন্ধকার তাড়াতে পারে না অন্ধকারতে তাই অন্ধকার হয়ে যাওয়া ছাড়া যে উপায় তা হলো ঘনান্ধকারে লোপাট হওয়া


 


বেয়াল্লিশ

হন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানের তালিকার সাথে মেলেনি বলে উদীয়মান, রাগী, তরুণ বুদ্ধিজীবী হলে মনঃক্ষুণ্ণের মাত্রা বেশী সাহস থাকে সামনে আয়..!  তোর হাবভাব এর সামনে আমার নাম রাখা হয়েছে “প্রেমিক”। ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ আরাত্রিকম্ সমর্পয়ামি। বেশ ভালোই পাইসে আপনেরে তাই না? বাপ, দাদা, তোমার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি. মা কালী গতকাল রাতে ভক্তের দেয়া ক্রিমওয়ালা বিস্কুটে কবিতার অন্ত্যমিল গুলো মনে রাখার মতো পুঙপুঙাপুঙ-পুঙ টিংটিঙাটিঙ-টিঙ, তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি বাপরে এই অবস্থা কোলকাতায়? আদিভূতা সনাতনী, শূন্যরূপা শশীভালী, ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন মুণ্ডমালা কোথায় পেলি ? ঠিক এই বিন্দুতে কালো বৌ ফ্রয়েডের যৌনতার তত্ত্বচিন্তা নি‌য়ে মারামা‌রি করে, গলা টিপে ধরে আর কিছুই নেই এলোমেলো  দীর্ঘ সময় কাটায়া 


তেতাল্লিশ

দিলাম হেহে, লিস্টে থাকলেই পারসোনালি যোগাযোগ রাখতে হবে, ভাভারে ভাভা! তাও উনি যাদের পাঠিয়ে হয়েছেন, তাদেরকেও! নিজের আত্মীয় এমনকি আমার বাপ ভাইও আছে আমার লিস্টে। এরা ছাড়া এবং খুব ক্লোজ দুই একজন বন্ধু ছাড়া পারসোনাল যোগাযোগ! হেহেহে। তবে কমেন্টের উত্তর আমি দেই। অবশ্য কমেন্ট করাও তো যে কারো পারসোনাল চয়েস, তাই না? এই জন্য এই হুমকী! প্রত্যেক মানুষের প্রার্থনা প্রত্যাশা থাকে নিজের সংসার নিয়ে।কিন্তু বিধাতার পৈশাচিক উল্লাস অহংকারী সিঁদুরের ভারে লেপটে যাওয়া সধবা কপাল আমার আমার একলা চলার পথে আমার লড়াই এ আমি একা কেউ আমার সাথে নেই ।আমি একা আমার সন্তানকে বুকে আঁকড়ে বেঁচে আছি।লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।”অনেক ‘ভদ্র’ মেয়ে নাকি আমার ছবি দেখে লজ্জিত, আচ্ছা লজ্জা 


চুয়াল্লিশ

তখন আসে না? যখন রাস্তার ধারে কোনো অবলা অসহায় নারীর বুকে পোঁদে কাপড় থাকে না অর্ধ নগ্ন বা ন্যাংটো শরীরে মাইগুলো ঝোলে তখন অশ্লীল দেখতে লাগে না তখন কী নিজের ব্লাউজ বা শাড়ি খুলে অসহায় মানুষগুলোর গায়ে পড়িয়ে দেন । পাশে থেকে তাদের লজ্জা নিবারণ করেন ? শিক্ষিত সমাজের ভণ্ডামির জন্যেই নিম্নবর্গের এই উঞ্ছবৃত্তি “আ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া হাতটা দানবের সিঁদুর পরানো হাতটা দেবতার আ্যাসিড অথবা সিঁদুর যাই হোক, মেয়েটা কিন্তু জেনে গেছে হাতদুটো আসলে পুরুষের। আপনারাই তো গালাগালি দেন, খানকি মাগি,রেন্ডি মাগি চুদমারানির বেটি । অর্থাৎ খানকি কে চরম ঘেন্না করেন?রূঢ় সত্য তা নয়.. পরিস্থিতি সুযোগ পেলে খানকিকেও চুদবেন, খারীকেও। আর আমার বুকের কাপড় নেই বলে দরদে যৌনাঙ্গ খাঁড়া হয়ে উঠেছে ঠাকুরের যেমন 


পঁয়তাল্লিশ

নামভাব হত, ষোলটি শাঁসে একাকার অমৃত তফাত একটাই তোমার লিংগ দিয়ে সাদা সাদা ফেনা বেরোয় ঠাকুরের বেরতো না। অথবা বেরতো। আমরা জানতে পারিনি। যতটা জানি অমৃতসমান ঠাকুর উলংগ। নির্ভার নিঃসংকোচ দণ্ড। আর মা? নগ্নজবা মহাকালীর নির্লজ্জ যোনি।‘পাঁচ রুপাইয়া বারা আনা’ ওই ৫ টাকা ৭৫ পয়সা নিয়ে ক্যান্টিনে যেতেন  সেই সিকি আধুলির হিসাবে মজে যায় দেশ। হাহাহাহা হাহাহাহা হাহাহাহা হাহাহাহা হাহাহাহা হাহাহাহা আই লাভ স্টুপিডিটি !! তারপর বললো পাতা হ্যায় আন্টি হামারা ছয়গো বিবি হ্যায়। আমি বললাম কঅআটাআআআ? আমার চক্ষু চড়ক গাছ। আমি একটা বিয়েই সামলাতে পারছি না, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা। এ আবার ছটা বিয়ে! একদিন সাজগোজের গ্রুপে দেখি একজন লাইভে ব্লাউজ দেখাচ্ছে। দেখাতে দেখাতেই বাঁহাতের 


ছেচল্লিশ

তর্জনী কানে ঢুকিয়ে ঘুরিয়ে এনে নাকের কাছে রেখে শুঁকে ডানহাতে ধরে থাকা ব্লাউজটায় হাত বুলিয়ে আবার বলতে শুরু করল, দ্যাখো, এই ব্লাউজটা পেয়ে যাচ্ছ মাত্র চারশো নব্বই টাকায়, শিপিং আলাদা। তারপর আগা মাথা এবং আগা মাথার মাঝখানেও যখন কিছুই বুঝি না এই বয়সে পদস্খলন ভাল নয় ওঁ নমামি ফুসলানং দেবীং মুর্গিকরস্হ দিগম্বরীম্ । মার্জন্যা পূর্ণকুম্ভাটাকা জলং তাপশান্ত্যৈ ক্ষিপন্তীম্ ।। দিগবস্ত্রাং ঝাণ্ডানং শূর্পাং পার্টি করিন্তাম ত্রিনেত্রাম্  বিস্ফোটাদ্যুগ্রতাপ প্রশমনকরীং চলছে চলুক ও বিষ দৌড়ে নামো-রে, বিষ দৌড়ে নামো-রে, কালিয়া কালনাগের বিষ দৌড়ে নামো-রে তেরো থেকে উনিশ বছর বয়সে জীবনের প্রেমের মহাপ্রলয় ঘটে।বিশ্বাস করো দেইখা কাইন্দা ফেলসি। আমি এই ইট পাথরে আর থাকতে চাই না দি। আমাকে এইখানে ফেলে দিয়ে আসো…..


সাতচল্লিশ

 স্নানাগার নির্মিত অধিকাংশই এলিয়েন তাই ব্রহ্মচর্যের ব্রত শক্তিই শুধু নয় অশ্বিনীতারার চুল ছিঁড়ে শৈলীর গর্ভমুণ্ড ভয়ংকর উল্লসিত মাথা গোঁজে এইটা মোক্ষম কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, আমারে নিবা মাঝি? তুমি ভালো থেকো গো ঘটাং ঘটাং করে কপালের উপরে টিকে থাকে না , নেশা অবাক হয়ে বারবার ধাক্কা খাক, চড় থাপ্পড় খাক লিঙ্গে লেখা আছে সেকথা অবিচুয়্যারি মাতিয়ে রেখেছিলেন রতিনিধিত্বমূলক মিথ্যায়, অসততায়, কুচিন্তায় শুধু ছুঁয়ে দেখবে আরে বাবা, এত সুন্দর আকেঁন যে । স্মৃতিচারণে আবির্ভূত হচ্ছেন যুগে যুগে সবাইকে খিস্তোবে এবং পূর্ণ-প্রাণ হয়ে উঠবে আহা আহা আহা ভাবতে ভাবতেই কাটিয়ে ফেলছেন ল্যাটা, গড়াই, বেলে ধরায় প্রবেশ করিবার প্রস্তাব আসিয়াছে? পাশের এই খান্ডালনি কিন্তু মায়াবতী ভদ্রমহিলার আজ জন্মদিন। ভালবাসার বিনিময়ে যথাযথ 


আটচল্লিশ

ভালবাসা দিয়ে উঠতে পারি না কিন্তু ভালবাসি ঠিক তবে বিকল্প কি?  বিকল্প ভাবার সহজ সমাধান  নেই। আসলে বিকল্প বলে কিছু হয় না । ঘুঁটের আদল-আদরা অন্যরকম হলেও তা ঘুঁটেই থাকে । আমরা রাজনীতিতে ঘুঁটের এসকর্ট হিসাবে কাজ করেছি । জীবনে যদি চরম  দূরত্ব বাড়ে যোগাযোগ নিভে যায়- এর মতো করে এই তো নিউজফিডেই দেখি নিয়ম করে। ব্যস্ততাবিহীন ব্যস্ততায় থেকে  খোঁজখবর নেওয়া হয় না তেমন করে। অথচ জানি আছে, জানে আছি৷ পাশের যুবতীকে ভালোবাসার লোভ সামলাতে পারলাম না। এই মাসেই হবে হয়তো ওয়ান নাইট স্ট্যাণ্ড  দেখলাম দিদিভাই আমাদের পুরনো অগোচরে তোলা ছবি দিয়ে দিয়েছে৷ হয়তো মিস করছিল আমায়। জিজ্ঞেস করতে গিয়েও ভুলে গেলাম, পরী ভাববার মতো মানুষ খুব অল্পই আছে 


উনপঞ্চাশ

টুকরো টুকরো দ্যুতিময় যুদ্ধবাজনায় সাজানো ইগো, আত্মগরিমা, মর্মবিদারী বিবাদ নিজের জীবনে কী হবে এই মায়াপ্রপঞ্চে বিলাই বলবে ম্যাঁও, সাপ বলবে ফোঁস, আর ছাগল বলবে ব্যাঁ নাস্তিক্যবাদী ঈশ্বর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জগাখিচুড়ি প্রাগৈতিহাসিকদের জন্য আসবি কাছে খুকি? একবার মুগ্ধ হতে চাই... শুনে এসে আমায় বোলো তোমার এই স্বভাব কি জামাই জানে ? বউএর ঠোঁটে সিগারেট তরুণদের ছ্যাঁচড়ামি, বৃদ্ধদের লুচ্চামি, মধ্যবয়সীর ইতরামি  বোধিলাভের মই টই পাচ্ছিস না এখন? সে আরো উৎসাহী হয়ে আমার বাসা কোন এলাকায় তা জানার জন্য অধীর খুবই আলাভোলা ভালো মানুষ আপনার বাসায় তো আর যাবোনা  যাক নো রিপ্লাই। সে আবার বললো, হেই গার্ল! কেমন আছো

আমি ভালো নেই করোনায় গণচিতার ভয় গো ! 


পঞ্চাশ

ম্যান,  সিরিয়াসলি ! আব ওঁম শান্তি ! .আঁতেলদের চারটেই হাত রাজনীতির লালনা নীল পশ্চাদ্দেশ তলে তলে  আর কাক বসবে না বোঝো !!! মা কম্যুনিস্ট, বাপ গেরুয়া, প্রথম ধূমকেতু বাহ উস্তাদ বাহ সাদা লোম ভালোবাসার মাত্রা শিউরে ওঠা কান্ডজ্ঞানহীন নরম চাই রোমকূপের শয়তান এর কারখানা তোমার কি ওফ  গুটিকয় মুগ্ধ জলপরি হওয়ার ট্রায়াল যদি পোলাদের ইস্কুলের খরচ দেয়কেউই সারাজীবন ভার্জিন থাকে না । একটা সময় আসে যখন ভার্জিনিটি কেড়ে নেয়া হয় । বললেন মেঘনা। তারপর যোগ করলেন, পুরুষেরাও ভার্জিনিটি হারায় ।  সে  নিজেই টের পায় না । পুরুষের ভার্জিনিটি শুধু মেয়েরা কাড়ে না, রাষ্ট্র, সমাজ, মতবাদ, স্বপ্ন, টাকাকড়ি, লোভ, কার্পণ্য, ক্রোধ, ক্ষোভ, দুঃখ, গ্লানি, প্রতিশোধের ইচ্ছা, হত্যা, আত্মহত্যা  পুরুষের ভার্জিনিটি কেড়ে নেয় । 


একান্ন

সে অর্জুনকে সবার থেকে বেশী ভালোবাসতো অথচ তার সবাইকে সমান ভালোবাসার কথা ছিল ; বুড়া সোয়ামী রাখুম কন কুথায়?  বাহ্ ! অসাধারণ গোয়েন্দা সংস্থার আঁতুড়ঘরে কুলাঙ্গারদের টাটকা বুনো উল্লাসের ঘেমো পাগলের উন্মেষ ঘটে কতো খবরদারির ঘরমুখো বিরোধ ছিঃ এই সমস্ত পচা গণতন্ত্রের ধুয়ো প্রথম দিকে প্রতিটি যৌনসম্পর্ক ছিল সংক্ষিপ্ত কালবৈশাখীর মতো এলো আর গেলো   ভুলে যাওয়া সহজ  সেই মানসিকতাকেই আমি  যৌন জীবনশৈলীর ভিত্তি হিসেবে  ভেবে দেখলাম, আমি, বারবার, যৌনতাকে  তুচ্ছভাবে বিবেচনা করব  খুব দ্রুত বর্তমা‌নে ভী‌তিপ্রদ বিজ্ঞবিচি লোকজন ঝাঁপের ঘুলঘুলি খুলে বিপ্লব ফিরে আসছে ঢ্যামনা শক্তি আসে বিরক্তি অর্জুন নয়, সারা জীবন তাঁকে রক্ষা করেছেন ভীম লোকটা পাকিস্তানি নাকি কুরুক্ষেত্রের


 বাহান্ন

উন্মাদনা মানে একই জিনিস বারবার করা, কিন্তু ভিন্ন ফলাফলের আশায় ফাঁকে ফাঁকে আমারে ছেঁকে ছেঁকে তুলে বুকে কার্তুজের বেল্ট ছিল টুংটাং বাজনা  এখন নেই মুদি দোকানের হিসেব থেকে গভীর মমত্ববোধ আর ঘেন্না উগরে দিতে স্বস্তির বিষয় এটা যে ঝোলা থেকে বেরিয়েছে ফুলকপির হুবহু মিল শব্দ গেলা যত সহজ এসেছি দণ্ডকারণ্যে এই দ্যাখেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা চোখে চোখ রেখে রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধব আরে কিয়জ্জনতন্ত্রের জাঁতাকলে পড়ে যথাবিধি ছাতুর হাল  হাহা হোহো হিহি সেন্ট পার্সেন্ট দালাল তুমি রামের পোলা শ্যাম মাপহীনতা এমনভাবে রয়েছে হাসে তো ঘুরতে ঘুরতে গিয়ে ঢুকলাম এক এন্টিক শপে। সাত সমুদ্রের নারী অবগাহনের ঢেউ বিক্রি হয় আকাশের দরে।


তিপ্পান্ন

 আমার তো । ওরা বললো এটা গুডলাক সাইন। প্রথমে আমার বিশ্বাস হয়নি, কিন্তু এর পর থেকে যেখানেই যাই, এমন হরেকরকমের, বিভিন্ন কালারের মাথায় প্লাস্টারে ডাক্তার লিখেছেন ওনার নাম যেহেতু অবিরাম কর, সেহেতু উনি অবিরাম সেক্স করার অধিকারী  বইমেলায় তো অধ্যাপকের বেশ কয়েকটা বই বেরিয়েছে আর বিক্রি হয়েছে  তার মানে পুরুষেরা নিজেদের দুর্নামও বিক্রয়যোগ্য করে তুলতে পারে  উচ্চশিক্ষা দাঁড়িয়ে আছে অধ্যাপকদের লিঙ্গের ওপর   বাঙালির নবজাগরণ সংস্কৃতি যোনির মুখে পাতলা চাদরটাকে  বাধা হিসেবে দেখেছিল আর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তা হলো একজন মেয়ের কুমারীত্ব  চিহ্নিতকারী  সভ্যতা আলোকপ্রাপ্তি তো আর নিজের পায়ে আসে না


চুয়ান্ন

হাড় নেই, চাপ দেবেন না । খুলির হাড় নেই। যৌবনের জোঁক ছাড়ালেও যাবে না হাড়ে ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত অনুরাগী  স্টিক হাতে সাহিত্য করবে স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু নিয়ে তোমাদের নিজস্ব মালভূমি খুব ক্লান্ত ? প্রবল সন্দিগ্ধ চিত্তে জেলজুলুম, এইডস, গনোরিয়া, সিফিলিস, ডেঙ্গু প্রজাপতি-ঋষি স্মৃতির উদ্দেশে বিক্রিয়া ঘটাতে মাতৃগর্ভ হইতে নিষ্ক্রান্ত ক্ষিদে পেলে চণ্ড-মন্ত্রগুপ্তি অনুসারে কানাঘুষা শুরু হয়েছে এমন অপকর্ম অশ্লীল থ্রেট কুকুরের কামশাস্ত্র আঁশবটিতে কুচিকুচি মায়ের শাড়ি খুলেই গায়ে ঘি মাখাতে হয়েছিল ছেলেটা বাঁচুক, কারণ ? আয় চুমু নিয়ে যা ; সবচেয়ে দুরূহ কর্ম দাঁত মাজা হয়নি এখনও লম্বা লম্বা বোলচাল কি ঠুনকো কেউ পাপ পাপ বাপ বলে কিছু নেই আছে শুয়োরের বাচ্চা বলেছেন মনোরঞ্জন নেতারি বিদ্রোহে বিপ্লবে ঘুমে


পঞ্চান্ন

আলোর ভেতরে দড়ি নিয়ে ঝুলে পড়তে মুঞ্চায়, প্যাঁচ খেয়ে দ্যাখো কান্ড ! সেরা দিলে ওস্তাদ তুমি জগতের কলাবিবিদের  বলছিলুম, ছাগল আর স্ট্রাগল জীবনে আসবেই, পাগল হওয়া যাবে না…উউম্মাম্মাহহহ, লাৎ খেয়েও যারা বদলায় না তারা মহান হয়, যা কিছু অসমাপ্ত কুশ্রী, হেলাচ্ছেদা স্বরূপ তাকে কেবল  কল্পনার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কোন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন না।ওমা গো এই ভর দুপুরে কি যে শুনলাম,উফফফ  আমার হাসি থামিও না কিন্তু হিসু আটকে দাও, রাস্তায় হয়ে গেলে মান সম্মান পুরো ডুকরে কেঁদে ফেলবে জাম্বুবান প্লিজ হেল্প মি কেন যে শুনলাম, হাসতে হাসতে পেট থেকে কোলা ব্যাঙ এই হীরক রাজার দেশ, অসম্ভব বলে কিচ্ছু নেই নেপোলিয়ান দাদা। কুন্ডলনী শক্তি জাগ্রত তোমার নামের প্রভু বিস্তার এমনইসব রন্ধ্রপথে ঢুকে জানান দিচ্ছে নিয়মের বসবাস –সরিয়ে দাও, এটাই মায়াপিণ্ডের যম 


ছাপ্পান্ন

নষ্টের গোড়া নতুন কাউকে ঘরে আনো। এমনই তা শক্তিশালী, কাল-কালাতীত খোলা চোখে মোহ পাপ বাপকেও ছাড়ে না ।  তার সেই কল্যাণ রূপকে আমি দেখি। এই বিরাট চামচিকে আমার অনুভবে স্পর্শ করি এই সকল মর্গের আত্মীয় সম্বন্ধের ঐক্যতত্ত্ব ক্ষুধার্ত  চোখে সুর্মা লাগাতে চায়, খাবার দেওয়ার কথা ভাবে না। নবজাগরণ নিয়ে অনেক ভিন্ন মত আছে, কারা বদলালো ? আমরা নিজেরা ? নাকি প্রযুক্তি, শশুর, জামাই, বউমা, ওদের ভাতের বদলে ছাই বেড়ে দাও, আজা সনম মধুর ভোট ব্যাংক ছিল ঝাণ্ডা-ডাণ্ডা’র পাণ্ডা ; মা-কে এখনও স্বাভাবিক করতে পারিনি । বুঝি, এই হারানোটা ভাষায় বোঝালে  বীরানে মে ভি আ জায়েগি বহার যবনবিদ্বেষী যে মেয়েটার সাথে তুমি আমি চরে বেড়াই আজ তার তালাকের ঝামেলা হলো তুমুল, কোথায় সে? দুজনেই দুজনকে কষিয়ে হসন্ত ছাড়া আনন্দ হয় ? থাপ্পড় দে থাপ্পড় দে থাপ্পড় জড়িয়ে


সাতান্ন

রাস্তায় ঘোরালো ঘনীভূত নির্যাস নিশুতি থমথম কী  করতুম ? স্ত্রী লিপস্টিক মেখে সুইসাইড করেছে। আলস্য ছাড়া পুরুষের জীবন অর্থহীন । চাই চাই চাই, তার  আফটার এফেক্ট ভাপাইলিশে, জলদের গায়, সংকেতস্থলে দাঁত কেলিয়ে হাসে মহাকাল চড়ুইভাতি, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেশ একটা মারপিট হলো ভীষণ আপ্লুত একদম দমাদম মস্ত কলন্দর রাতদুপুরে কিসের নৌবিহার ? কিন্তু কই কিন্তু ? পাতালপুরীর অজানা কাহিনী কিছুই হচ্ছেনা মাইক বাজিয়ে কেত্তনের আসর গলা টিপে ধরেছে ?? দেখছিলাম বাতাসের তাণ্ডব । অন্ধকার তাড়াতে পারে না অন্ধকারতে তাই অন্ধকার হয়ে যাওয়া ছাড়া যে উপায় তা হলো ঘনান্ধকারে লোপাট হওয়া


আটান্ন

ভুজঙ্গ-তুঙ্গ-মালিকাম, ডম--ড্ডম-ড্ডম-ড্ডমন্নি-- নাদ-বড্ড--মর্বয়ম,চকার চণ্ড-তাণ্ডবম তনোতু নঃ শিবঃ শিবম ইংরাজীটা খায় না মাথায় মাখে মেমের তিতকুটে বুকে প্রকাশ্যে ইঁট ছুঁড়ে মেরে ফেলা যায় আমার মনে আছে, প্রায় মাস ছয়েক আগে ওনার ল্যাংটা নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল । নিয়ন বাতিতে সাততারা হোটেল ঘরে তিন তরুণীর সাথে হাতে মদের গ্লাস নিয়ে ন্যাংটো হয়ে জেমস বণ্ডের  সাথে উদ্দাম নাচ  তখনও ওনার দুই কৃষ্ণাঙ্গী প্রেমিকা  আমার বিছানায় ছিল। যৌনাঙ্গেই  চরিত্র থেকে বলে লাফাতে থাকা চরিত্র দেখে ফেলেছিলুম ভবিষ্যৎ উজ্বল কোন শালা এই নিদান দিয়েছে উরিশ্লা কী চিজ ভাই ডম-ডমা-ডম ডম্বরুবডি

পুরাণের বউমাদেরও হার মানায় জয়হোক গুরু


উনষাট

ব্লাউজের স্মৃতিবিজড়িত ফাইল বগলে অফিসে গোটা মুখ জুড়ে ভাঙাচোরা সম্পর্কের বেদনার গন্ধ সাবাশ দাদা অরন্ধনের নিভন্ত আঁচে দুর্ভাগ্যজনক রান্না আচরণের ধারাবাহিকতা লক্ষ্মীপ্যাঁচা না পক্ষীছানা বেশি  বয়সী মেয়েমানুষ খুঁজে বেড়াই পথে-পথে বিবিজানের..হৃৎপিণ্ডে বৃক্ষবীজশাক্ত ধর্মে দীক্ষিত এই লিপস্টিক – উফ্ ! বৃথা।বাহ্ কি মজা গো চামশুটকি তিলেখচ্চর তো বারংবার স্মরণযোগ্য ধন্যবাদ ন্যাকা ন্যাকা প্রশ্নে এভাবে হয়না খুউউউব ভালো  উলঙ্গ করে দেবে ! না না ধুর, বোকা কেউ অতলে ডুব দেয়না তারপর তোমার দ্বারা হবেনা । সে কী শ্যাওলার মতন সবুজ? তার গা ভর্তি সোঁদা গন্ধ! সূর্যের আলো ঝুমঝুম করে বাজে তার মধ্যে, অবসকিওরের মতন? তাকে সি মোর করা যায় নাকি গো ডাকপিয়ন? আগুন কী নিরেট হয় ?


ষাট

তার ভাবনায়,  সবুজ সাপের মতন ঢেউ তুলে দোল খায় সুপুরির বাগান ! কোনো হারামজাদাকে ক্ষমা করব না পুড়তে পুড়তেও বাপ চোদ্দপুরুষকে গুয়ের নদীতে ফেলবো ।  ও ভাই, ও ভাই ! কার দোকানে কম দামে পার্টির মস্তান পাওয়া যাবে, বলুন তো ! ছ্যাঁচড়া এক দেশ নাম তার শনিবক্রি, মাকড় বসতি। রোহিঙ্গারা তো মগ, লুটপাট ছেড়ে উদ্বাস্তু হলে তো জেল হবেই । কী ওয়েদার !  প্রেম প্রেম লাগে। আমি তখন স্নাতক । যুবতীরা নোটস চায়। আহা ! কী দিলে মাইরি ! চাদরে বালিশে লেপে ইনসমনিয়া, প্রেমের কথা মনে হলে মহাশ্মশানের ভৌতিক কোলাহল শুনে ভয়ের ঠ্যালায় কামজ্বর এসে যায়। সাবধানের মার নেই। এরা ডিম পাড়ার মতো কবিতা পাড়ে না কেন ? এক ডিমে দুটি কুসুম। শ্রীকৃষ্ণ ডিমের অমলেট খেতেন না পোচ?


একষট্টি

রণতূর্য; প্রতিধ্বনি প্রভব দুন্দুভি, সাড়া দিল সমস্বরে; চমৎকৃত সুষিরে সুষিরে, আমরা  জঘন্য পরিণতির দিকে রাজনীতিকদের ফলো করছি । তা আমাদের কতখানি পাওয়া ! কি মিষ্টি লাগছে, খুব সুন্দর ছবি, দিদি ! শ্রাদ্ধের ফিরিস্তি নিজের হাতে লিখে গেছেন ঔপন্যাসিক ।‘যোনিকেশরে’ একদিন  মন্থিত হতে পারেন ।   কমরেড বন্ধের দিন সঙ্গম করবেন না মাইনে কাটা যাবে । অযোনিসম্ভূত সারকার বেশ  ইন্টারেস্টিং তো। অধীর অপেক্ষার আগ্রহ থাকলো সুরকার ও গায়ক বাংলা মদ, বিড়ি, বোহেমিয়ান । একেই বলে ধামগুজারি ফেগ্রান্সি। লকড়বাগঘা দেখো, প্রেম পাবে, ভামচওলা যাকে বলে পাক্কা পাটনাইয়া বাঃ! খুব ভালো লাগল। কাজ শুরু হয়নি । ধাক্কাপাড় ধুতি পাওয়া যায়নি গো । 


বাষট্টি

জুতোমেলায় হবে  । অতিব্যস্ত সদাধাবমান পুরুষযাত্রীদের অনেকেই ছুটতে ছুটতেই যুবতীদের স্ট্যাচুগুলোয় মাইতে হাত বুলিয়ে নেন কোনো পীনোন্নত বুকে হাতের ভালোবাসা বেশি উজ্জ্বল! টিকিটের দাম উশুল ।দার্শনিকতা হলো ভয় পাওয়ার আরেকটি উপায় নিছক কাপুরুষতায়  বিশ্বাস করা ছাড়া অন্য কোথাও পৌঁছে দেবে না। প্রি-ওয়েডিং ও পোস্ট-ওয়েডিং কাঠের পুতুলের সাহিত্য উৎসবে নাইট শিফটের শ্মশানে যাবার পালতোলা নৌকো ধৈর্যের বাঁধ কখনো হারানো সময়ে পারলৌকিক হাসি হাসি মুখ করাটা রাত দুটোয় অসম্মানজনক অসম্ভব মিথ্যে বাঙালিয়ানা কেন গো সোনা ভুটভুটি ভেসে  যায় কাক-ডাকা বিকেলে  এত জুসি স্যান্ডুইচ মনে শান্তি নেই তাঁকে কেন সমাহিত করা হবে ? পহলে দর্শনধারী ফির

বডির মাপ বিচারি একেই বলে দর্শনপন্হা ।


তেষট্টি

লোকদেখানো ভুজুংভাজুং কাঁপছি শূন্য জ্বরে সুখ কী? সুখ হচ্ছে সবচাইতে উদাসীন মৌচাক। আর কষ্টের কথা বলি যদি, কষ্ট দেয়ার বা পাবার জন্য সুখের গভীরতর পরিমাপের আকাঙ্খা দরজার সামনে মূর্তির মত দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। এটুকুই  জীবন। একরত্তি কম বা বেশি নয়। আন্তর্নক্ষত্রলোক বিনিময়যোগ্য মদের সাথে পকোড়া থেকেই সত্য কাহারে কয় তা মগজ বলে না । যৌবনে কোনো নগ্ন যুবতীকে জড়িয়ে ধরো দেহের নির্দেশ পাবে আজ বড়ো নোনতা সংসারের উৎসন্নে যাবার জন্য  ছায়া হাতড়ে গড়া মেয়েমানুষ কিন্তু খোঁপা খুলে চুলে মুখ গুঁজে আনন্দ বাড়িয়ে তোলে হ্যালো মরণজেঠু মন্দিরে গিয়ে আপনি হিন্দু হয়ে যান আর গ্যারেজে গিয়ে মার্সিডিজ বেঞ্জ ! নদীতে গেলে কুমির হন না?


চৌষট্টি

নিপীড়ন চলছে চলবে । হেভেওয়েটদের ভর সইবার মতো নাগরিকদের অভাব ।  নেপথ্যে ফেরারিদের ওঠা বসা আর ভাবনা । সম্ভব হলে তা আলো দেয় সুকুঞ্চিত কেশে রাই বাঁধিয়া কবরী, কুন্তলে বুকলমালা গুঞ্জরে ভ্রমরী। নাসার বেশর দোলে মারুত-হিল্লোলে, নবীন কোকিলা যেন আধ-আধ বোলে। আবেশে সখীর অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়া বৃন্দাবনে প্রবেশিল শ্যাম জয় দিয়া ।  এর জন্য গায়ে হলুদের ট্রেগুলো দরকার – যোগাড় করতে না পারলে যে জীবন দুঃখের তা দুঃখেই তলিয়ে থাকে। জীবনের আনন্দ তখন কিসে? বঁধুর পীরিতি আরতি দেখিয়া, মোর মনে হেন করে, কলঙ্কের ডালি মাথার করিয়া, অনল ভেজাই ঘরে। ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিয়া আছয়ে যে জন, কেহ না জানয়ে তারে। প্রেমের আরতি যে জন জানয়ে সেই সে চিনিতে পারে। আমি পারিনি কেন?


পঁয়ষট্টি

বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদণ্ডধৃক্  দেখে সেই আনন্দের উৎস খুঁজি। আচ্ছা, গল্প না বাস্তবতা, বাস্তবতা নাকি কল্পনা, কল্পগন্ধম তার শেষ হয়ে গেছে খাওয়া  আমি ভয়ে, আর শীৎকারে ডেকে উঠি, হেঁই মারো মারো টান, হেঁইয়ো।  যম পালালো নিজের কালো মোষটাকে নিয়ে  আপনি এই সূক্ষ অনুভূতির ছোঁয়ার যে মাদকতার  প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা বর্তমানে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের মতে অশ্লীল, বৃত্তে এই জাতীয় শব্দ রয়েছে গতানুগতিক চিন্তাধারা, আরবি সাম্রাজ্যবাদ এর বীক্ষা হলো পুরুষ “দেয়” নারী “নেয়” তার মন্তর শুনুন ওঁ ব্রাং ব্রীং ব্রৌং সঃ মলয়ং নমঃ ওঁ এং স্ত্রীং শ্রীং মলয়ঃ নমঃ ওঁ হ্রাং কোং 

তাই ওনারা বলেছেন গণিমতের মাল লুটেপুটে খাও চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি প্রকাশের অনুমতির বিভ্রাট ঘটলেও তিনি তা অবগত নন এমনটা না 


ছেষট্টি

ডিডোর প্রেমে সাড়া দেয় ঈনিয়াস। উনি পূর্বপুরুষ ও সহযোদ্ধাদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, মরিচঝাঁপিতে তাঁদের নতুন বসতি গড়ার জন্য। কিন্তু ঈনিয়াসের প্রস্থান মেনে নিতে পারে না ডিডো। ঈনিয়াসের ফেলে যাওয়া তলোয়ার দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কোনো পেনিট্রেটিভ পাওয়ার পুরুষত্বের প্রতীক সেটা লাঙল দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারে লেখক এই শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেছিলেন ; সন্ন্যাস নেওয়ার পরে বৈরাগী ধরার স্টেজে আছি।  এটা অসুর না হয়ে গ্ৰীক দেবতা হয়ে গেছে তাঁর চিত্রায়নের জন্য তাদের চরিত্রের প্রয়োজন ছিল। জনগণ এই জাতীয় কথা বলে– প্রয়োজন হয় না এবং অন্যরা আরও স্বচ্ছ হতে পারে, ভাল স্বাদের জন্য …তারপর আমরা একদিন সেই পুরোনো মানুষটার ডাক নামে নতুন কাউকে  বাকস্বাধীনতার কি কোনও স্বাধীনতা থাকতে হবে যদি একজন সত্যিকারের দানব রাতের বেলা আসে 


সাতষট্টি

দেখা দে মা কোতোয়ালির রাইফেলঘরে দেখা দে দেখা দে পদ্ধতিগুলো শুরু থেকেই জটিল। মানুষ ভূমিষ্ঠ হয় না কেবল জানোয়াররা হয় বউয়ের দিকে পশুরা চেয়েও দেখে না, আঁচলের এক কোনা ভাল্লাগে দেখতে বন্যায় বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে শহরকে খেয়ে ফেলছে আগ্নেয়গিরি বোমায় ছিৎরে যাচ্ছে শখানেক মানুষের হাড়মাংসের টুকরোটাকরা দাঁতে কক্ষনো না, চলচ্চিত্র নির্মাতা এখন হোটেলবয়। আমার চিরযুবক প্রেমিক মলয় রায়চৌধুরীকে অনেক আদর, প্রনাম শ্রদ্ধা।লাভ ইউ। কোথায় যে ছিটকে পড়তাম কে জানে! তখন গাড়ি উল্টে যেত। ঘটনার কথা মনে পড়ে যায় এমন কঠিন সত্য কথা তুমি কেমন করে বললে, লাবণ্য ? আবার কোনও প্রোপজাল পেয়েছো নাকি বুদ্ধদেব বসুর কাছ থেকে 


আটষট্টি

স্কুল-ব্যাগে খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখত শুঁয়োপোকা। দেরিদা বলেছেন, হাইমেন বিভ্রান্তিও নয়, পার্থক্যও নয়, পরিচয়ও নয়, বিভেদও নয়, পরিপূর্ণতাও নয় কুমারীত্বও নয়, ঘোমটাও নয়, উন্মোচনও নয়, ভিতরেও নয় বাইরেও নয়। ড্রইংরুম টি বেশ, ভালো লাগলো ; ফুটে একটা টুল পেতে চা বিক্রি করুন, কাজে লজ্জা নেই, বেকার হয়ে থাকা এই কারণেই আমি ষাঁড় হতে হতেও আল্টিমেটলি বাঘ; গুজবমারানিদের কথা শুনুন! পরচর্চা কী পাপ নয়?  কার্ত্তিকেয়ং মহাভাগং ময়ুরোপরিসংস্থিতম্। কেবল নোলা থাকলেই হবে? এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা, কেমনে আইলা বাটে? তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভং শক্তিহস্তং বরপ্রদম্। আমরা যা হওয়ার ভান করি,  আমরা আসলে তাই, সেই জন্য আমরা যা হওয়ার ভান করি সে সম্পর্কে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।


উনসত্তর

প্রেম একটি উদ্বাস্তু কলোনি। এখন বোল্ড চলছে। এর পর কিছু কিছু রান আউটও হবে। দ্বিভুজং শক্রহন্তারং নানালঙ্কারভূষিতম্। আমার খুব জ্বলে যখন তুই প্রসন্নবদনং দেবং কুমারং পুত্রদায়কম্।কি যে করি, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে আধঘন্টা মানুষের সাথে মানুষ কবির সাথে কবি শেষ সময়েও আমরা থাকবো একই কলোনিতে চোখের নীরবতার ভাষা কেউ পড়েনি। বুঝতেও চায় নি।বাহঃ  তারা শুধুই বিস্ফারিত চোখে দেখছিল, ওনার সামুদ্রিক স্তনযুগল আর ভাবছিল, উফ্ আর একটু, আর একটু প্লিজ । মাতালদের  ভাঁটিশালায় বীণাপাণি হিন্দিতে কথা বলছেন পুরুতমশায় শ্রাদ্ধের মন্ত্র পড়ছেন বিয়ের সময়


সত্তর

 মাকালীকে কেউ বা আবার  ভেবেছেন, এত কালো বুক ! ইয়ে বলছিলাম কি, পুজো এসে গেলো আমি এখনও উইন্ডো শপিং এ আটকে আছি এ সমাজ কি আমায় মেনে নেবে ? মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ দাও নি তার পরেও তোমার ঘুম পায়? ধন্য তুমি ! হু হু দাদা, মৃত্যুকে ভয় করিসনি কেন রে ? তোকে কে বলেছে চিরকাল বাঁচতে হবে ? পাগলরা ছাড়া আর কেউ পৃথিবীকে বদলাতে পারে না কেন জানিস ? ওরা মগজ নিয়ে জন্মায় না ; জন্মাবার সময়ে ওদের পা প্রথমে বেরোয় । ইডিয়ট পাবলিকদের প্রথমে মাথা বেরোয় । আপনি আবার জানতে চাইবেন না যেন মানুষ কোথা থেকে বেরোয় । আপনার কি স্মৃতি বিপর্যয় ঘটেছে যে কোথা থেকে বেরোলেন ভুলে মেরে দিয়েছেন ? চটি চাটেন না জুতো ?


একাত্তর

শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম দুদিকে ধার দেওয়া তলোয়ার তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে অবলীলায় ওই মুখরোচক গুজব পায়রা ওড়াবে, বাজি পোড়াবে, বাঈজি নাচাবে কাব্যে ফাটাস চাপা চোপা প্লাতেরো নামের সেই গাধাটার মাংস খুবলে খেয়ে বিয়া না হইলে বাচ্চা হইবোনা ক্যান? আনন্দ ছিল গলিত জোনাকি পোকায় গালের চামড়া কুঁচকে গেছে, চোখের তলায় কালি এই প্রকল্পের আওতাধীন আর একটু ভাত দিই ঘুরে বেড়ায় গোটা জীবন শ্যামল শ্যাওলা ও গেঁড়ি ও গুগলি দরজা বন্ধ করে যাও না কেন? মেরুদণ্ডী প্রাণী থেকে অমেরুদণ্ডী প্রাণীর তনয়া পরের ধন না বুঝিয়া বুঝে মন

হায় হায়, একি বিড়ম্বনা বিধাতার। কারারক্ষীর সাথে ভারতচন্দ্রের ভালো সম্পর্ক ছিলো। কৌশলে অল্প কিছু দিন পরেই কারাগার থেকে পালিয়ে যান।


বাহাত্তর

সবচেয়ে কর্তৃত্বপ্রধান হলো বিপ্লব নাটুকে কবিতা, গান লিখবেন । তোমারে একটা কথা জিগাই গিলা করা পাঞ্জাবী খুলে দেখেছো বুকে তোমার নাম লেখা ওগো কতো কতো ঢেউ সরল গরলে, বটছায়া ঘেষে কান্না জলের মতো স্মৃতি, একরোখা পূর্ণিমা, তার পাশে ছায়া গড়ায়  এ গড়ানোর সাথে মার্বেল সাদৃশ্য নেই, চোখ আঁকা থাকেনা  অনেকটা ফেঁসে যাওয়া চাকা, পাংচার গোবেচারা সাইকেলের মতন ঘষটে যাওয়া  ম্যাড়মেড়ে। বিষবৃক্ষ না পেলে পর্যাপ্ত আপেলের বীজ থেতো করে নিতে হয়। তাতে  সায়ানাইড আশানুরূপ, মায়া মায়া মরণ। যেন যত্নে এঁকে রাখা এক কালো বেড়ালের মৃত্যু। সাদা এপ্রন পরে যে ডাক্তার চশমার ফাঁক গলে কবিতা আঁকে সে কী এমন স্লো পয়জন বুঝতে পারেন পালস চিপে ধরে ? দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া ল্যাম্পপোস্টের কাজ হলো প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য শীতের আলো দেয়া। 


তিয়াত্তর

যাই হোক না কেন, আপনি মাঝে জীবনে তালগোল পাকিয়ে নেন, এটি একটি সর্বজনীন সত্য।  ভাল ব্যাপার হলো আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনি কীভাবে জীবনকে এলোমেলো করবেন 

মাঝেমধ্যে ধুতুরা কেলেও কী শান্তিভাব আসে !  যেমন অনেকটা কাশেরবনে জড়িয়ে থাকা যুবতীর ফেলে যাওয়া আঁচল ।  যেন অগ্নিনৃত্য, যেন জোনাকতাণ্ডব, যেন চোরকাঁটা ফুটে থাকা চোরের মাঝরাতের উল্লাস। জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রা কালী কপালিনী, দূর্গা শিবা সমাধ্যার্তী সাহা সুধা নমস্তুতে। মনসা দেবী অনার্য হলেও সাংস্কৃতিক ডামাডোলের যুগে তাঁর আর্যীকরণ করা হয়। যদিও তাতে বাংলার লোকজ কৃষ্টিকালচার পিছু ছাড়েনি। সেই সময়ের গ্রাম বাংলার আর্থসামাজিক রাজনৈতিক চিত্র জানতে এই কাব্যের গুরুত্ব আছে বৈকি।


চুয়াত্তর

কী কথা তাহার সাথে, ঢেঁড়শের  সাথে? কারা এই প্রণম্য ঢেঁড়শ ? মহানন্দ নামে এ কাছারিধামে

আছেন এক কর্মচারী, ধরিয়া লেখনী লেখেন পত্রখানি, সদা ঘাড় হেঁট করি। অহন হরিণশিশু পাইবেন কই ? হাতে বাংলা মদের খাম্বা বোতল  ঠোঁটে তামুক পাতার বিড়ি। নাই খাজা তো বগল বাজা ।  আসামি দেশের বাইরে মারা গেছে শুধু নায়িকারা বিছানা  ভিজিয়েছে তা নয় সাব্বাশ এই সমাজ কি সাম্যবাদ মেনে নেবে ? চারু মজুমদার দেখে যেতে পারলেন না চীনের সাম্রাজ্যবাদ ! যৌন পিপাসা শৃঙ্গারের সৌন্দর্য নিলে ডানা মেলে উড়াল দেবার পালা । চকা রেগে উত্তর দিলে,  উড়তে না পারে ঘরে যাক,  খাক-দাক বসে থাক।  কে বলেছে উড়তে ওরে,  ভিড়তে দলে রঙ্গ করে? বাংলাদেশে তাঁর বাড়ি নয়। তিনি পাংশুপুরের রাজা। সংসার বাবু তাঁরি সংসারে কাজ করেন।  ঝুড়িতে আছে পালং শাক, পিড়িং শাক, ট্যাংরা মাছ, চিংড়ি ।


পঁচাত্তর

এর চাইতে একটু প্রেম করলেও কাজে দিতো বেদ্দপের দল! একদম সত্যি কথা ; গভীর তন্ত্রীতে টান দিলে গো মামণি । পুত্র সন্তানকে এখন ডাইনি আন্টির অধীনে ছাড়া যাবে না শুধু ইনারলাইন পারমিট নয়,রাত্রি যাপনের জন্য রেজিস্ট্রিও করতে হবে। মাভৈ বলো হরি হরি বোল বেশীর ভাগই স্বার্থের প্রেম। রাজকুমার জঙ্গলে হাঁটতে থাকে। এসময় তার এক জানগুরুর সাথে দেখা হয় ধাঁধার উত্তর দিয়ে সে একটা করপোরেট ম্যাজিক কার্পেটে চেপে  পৌছে যায় ডাইনির স্টক এক্সচেঞ্জে একবার ষাঁড় জিতছে তো আরেকবার ভাল্লুক সাধের ছুন দোতারা অল্প বয়সে মোরে করলি ঘর ছাড়া ছুন ব্রহ্মাধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ। সরকার পরিচালনায় থাকা দলগুলো বিভিন্ন সংগঠন,ব্যবসায়িক ও অন্য সুবিধাভোগী যেমন ট্রেড ইউনিয়নগুলোর জামাই। 


ছিয়াত্তর

কদাচিৎরক্তকমলে হংসারূঢ়ঃ কদাচন।ছুন ছুন ছুন  লাউ এর আগা খাইলাম ডোগা গো খাইলাম জেঠা বাজার করে ফিরলে জিলিপি-লুচির ডুয়েট গানে হরিল্লুটের বাতাসা একজন প্রফেটকে আনতো বর্ণেন রক্তগৌরাঙ্গঃ প্রাংশুস্তুঙ্গাঙ্গ উন্নতঃ সাধের ময়না দুটো কৃষ্ণ কথা বল দুটো হরির কথা বল। কমণ্ডলুর্বামকরে স্রুবো হস্তে তু দক্ষিণে।হায় রে! ক্যাডার ছিল তারা সেই লাল বসন ফেলে দিয়ে গেরুয়া বসন পরিধান করে মুমূর্ষু পাখির অস্থির জীবন যুদ্ধ। পাওলি দামের ছত্রাকের সেই লিক হয়ে যাওয়া ভিডিওর কথা মনে আছে?  দক্ষিণাধস্তথা মালা বামাধশ্চ তথা স্রুবঃ। পর-কে আপন ভেবে রে তুই বাঁধলি সুখের ঘর  দোয়েলে তোর পোরম আপন  আর তো সোবি পোর অন্তিম কালে হরি বলে ডাকরে 

জাবি যেদিন  সোশান ঘাটে বাঁশের দোলায় চড়ে ।


সাতাত্তর

তোরে দেখি ফরসা ফরসা লাগতাছে। রহস্য কি? মনারে, চারি ডাকাইত মিলি করিল লুণ্ঠন লালিমা পাল, ব্রাকেটে পুং দের তো দেখেনই,এখন মাও সে তুং কেও দেখা হলো রাজপন্থে বসি এবে জুড়িছ কান্দন। । নোয়াখালীতে আর নোয়াখাইল্লা নাই। সব চেইঞ্জ  হয়ে গেছে সাবিত্রী বামপার্শ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী। নাসর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম।  ডুবাইলি রে, আমায় ভাসাইলি রে। লাও ঠ্যালা। ধুস ! শহরের ভুঁইফোঁড় বাবুয়ানির  শুভেচ্ছা রইলো বিশেষ ছাড় নাফা সর্বস্ব সমাজ জেঠু-দাদুদের সেনাইল টাকাকড়ি আর ভুঁইফোড় নাতি-নাতনি শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি, বরণৌ রঘুবর বিমলয়শ জো দায়ক ফলচারি । বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার । বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ।


আটাত্তর

অষ্ট আঙুল বাঁশের বাঁশি, মধ্যে মধ্যে ছেঁদা শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ নাম ধরিয়া বাজায় বাঁশি, কলঙ্কিনী রাধা রুপ দেখিয়া ঘুম আসে না ইলিশ মাছের কাটা ভালো চিংড়ি মাছের টক শিবের প্রেমলিঙ্গে কিলো কিলো পনির মাখানো চারশো টাকায় কিনবে সাধুরা গিলবে গবাগব সাথে কিছু হাহাকার, তোর কচি পোনা বেচেবেচে হাটে বেচা হবে গো মরণোত্তর কাব্যদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হোন কারো দিকে নজর লাগাস না খাঁটি পীরের মুরিদ হলে যমে তারে সালাম দেয় পাঁচ শনি পায় মীনে শকুনি মাংস না খায় ঘৃণে। তুই ভেটকাস ক্যান? আন্তরিক ভালোবাসা জানালাম। ক্ষেপি, মনটাকে সামলে রাখ  তুই তো বলিস জোরে কেঁদে নিলে চোখ ভালো হয়ে যায়, অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে । এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে ।


উনআশি

গুমরে থাকিস না প্লিজ দাঁত ক্যালানো দেখে হেব্বি খচে গেছিলাম ব্যথার অভিজ্ঞতাগুলি সম্পূর্ণরূপে শারীরিক তোর মানসিক অবস্থা  ব্যথার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে, নেতিবাচক, বিশেষত  অবস্থার তীব্রতা আরও ভাল হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কিত আপনার নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, খতিয়ে দেখছিলাম তোর এতো দুঃখ পায় কেন মেয়েদের দেখে আলোচনা কি কেবল রবীন্দ্রনাথ নিয়ে ? দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসঙ্কল্পমস্তু । ওঁ অস্য সঙ্কল্পিতার্থস্য সিদ্ধিরস্তু। ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু। সাধু সাধু !  পরস্ত্রী কাতরতায় যেটা আমি অলরেডি করে নিয়েছি  বেশিরভাগই স্বাদু আপনাদের মুখগুলো কমোড হবারও যোগ্য নয় । আমার মতন এমন জগৎশেঠ ফতেহচাঁদ কু-মনা, অর্থলোভী, লবঙ্গলতিকা বেয়াদব কবিতা মেরামত কোম্পানি লিমিটেড গ্রাম বাংলাকে তুমি নতুন করে চেনাবে লোকের ডাকাতির লাইসেন্স দিল কে হ্যাপি ছটপুজো বাঁটুল দি গ্রেটেস্ট বা হাঁদা-ভোঁদাও জানে ভাই। 


আশি

প্রেম স্বাধীন মাংসের ফাঁদ । শরীর গেলেই শেষ ? গুড়গুড় গুড়গুড় , ঢিসুউমমমমমমম দুগ্গা দুগ্গা বাথরুমে কেউ আছে ? শুরু হয়েছে পুজোর জায়গার দখলদারি। কৌতুকাভিনয়ের তাম্রযুগ চলছে চলবে ২১০০ পর্যন্ত আরে ছি ছি,এরকম বলিসনি সূর্যটা ডুবলো কী রাতে ? মাথাখারাপ আমার অপরাধপ্রবণতা‌ চোখের পাতা ভিজিয়ে দিলে মাম্মি বলত পল্লী গানের আসরে না গেলে  হুরিপরি মিলবে না তৈমুর বংশে এ ঘটনা নতুন কিছু নয় স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ বেবি বেবি হবি কি আমার হাবিবি? বেবি বেবি হবি কি আমার হাবিবি? বেবি বেবি হবি কি আমার হাবিবি?

বেবি বেবি হবি কি আমার হাবিবি ? কবে হবি  আমার হাবিবি? কবে হবি কি আমার হাবিবি?


একাশি

বর্ণচোরা আম, মারণ, উচাটন, স্তম্ভন, পঞ্চমকার সাধনা বাদ দিয়ে কবিতা হয় না রে খোকা আমার কথা মনে এলে রুমাল খুলে দেখিও।  উত্তরপ্রদেশে যাকে বলে সেনাহা, সব মনখারাপের কান্না আসেনা, কিছু কিছু মনখারাপে বোবা হয়ে যেতে ইচ্ছে করে বিহারে তাকেই বলে অরিপন, ওড়িশায় ঝঙ্গতী, হা হা হা। হাসলাম, তবুও ভীষণ সত্যি মধ্যভারতে মণ্ডন,  হিমাচল আর হরিয়ানায় লিখনুয়া ,তখন আপনাকে দারুণ লাগতো, আকর্ষণ করতে চুল চোখের কম্বিনেশনে গুজরাটে সাখিয়া, নিপুণ বুনো চালচলন । লাল সেলাম কমরেড,তারপর জড়িয়ে ধরে চুমু খাই আবার কবে আপনারা আসবেন রেড বুক আনতে ভুলবেন না, চীনে আর ছাপা হয় না। গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড নীতি একদম জিরো নম্বরে । 


বিরাশি

আপনার আলুলায়িত চুলে নাক ঘষি আমি আমার ভয়ের সম্মুখীন হবো। আমি একে আমার ওপর আর আমার মধ্য  যেতে দেব।  যখন এটা চলে যাবে তখন আমি দেখতে চাই ভয় কোন রাস্তা দিয়ে গেছে কিছু ফেলে গেছে কিনা । কেননা প্রেমের বিপরীত  উদাসীনতা। শিল্পের বিপরীত উদাসীনতা। বিশ্বাসের বিপরীত  উদাসীনতা।  জীবনের বিপরীত মৃত্যু নয়,  উদাসীনতা। আমি তাই সারাজীবন উদাসীন হয়ে কাটিয়ে দিলুম গো পুকুরে একশো কিলোর কাতলা মাছ সারাদিন উদাসীন সাঁতরে বেড়ায় একজন নামকরা কবি কচি-কচি কবিদের উদাসীন সঙ্গম করে যাতে ওনার শীঘ্রপতনের সঙ্গে তাদের ছন্দপতন না হয় ওরা ভয়ের রাস্তায় কুলুপ এঁটে কালীদাসের কাটা গাছের ডাল তুলে নিয়ে যায়।


তিরাশি

অসাধারণ! রুহানি নামের মেয়েদের মন বড় হয়েও শিশুদের মত ক্যাবলা থাকে। বাবা মা কাছে না থাকলে কেঁদে বর্ষাকালের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে । রুহানি নামের মেয়েরা কাফেরদের পছন্দ করে । ভালোবাসা এদের ওপর গজব প্রভাব ফ্যালে যাতে একসঙ্গে কয়েকজনের সঙ্গে রিলেশানশিপে দাপাদাপি করে । তবে এখন যাঁরা এমন কম্ম করছেন, তাঁরা কেউ নবীন যুবতী নন ;ওই চলছে, যেমন দেশ তেমন সন্দেশ রুহের হায় বলে একটা কথা আছে এক সময় না এক সময় লাগবেই কি থাপ্পড়  খুব খুব মনের কথা বলেছ গো ওনারে দেশে দাওয়াত দেন স্যানিটারি ন্যাপকিন ফ্রি যোনি দর্শনে সারাজীবনের সৌভাগ্য থ্যাংক ইউ  আমার প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়ে গেলো স্যার, কিলাইয়া হোতাইলে যেই কথা, হোতাইয়া কিলাইলে একই কথা শোভাযাত্রায় হিজড়েরা নাচে মৈথুন চেতনায়  ভরা জ্ঞান দিয়ে কী হবে যখন জগৎ চুম্বকের নিয়মে চলে


চুরাশি

চোখে দেখো না? অবশ্য তুমি তো হিজড়ে ছাড়া চেয়ে দ্যাখোই না ! গো-পরব। ঐতিহ্য। পরম্পরা। গরুর পিঠে ছাপ দেওয়া হয়, স্নান করিয়ে। যৌবন কালের লেখা। তখন কমিনিউষ্ট ছিলাম। পার্টির হোলটাইমার । দেখি একটা কলস ভরা লোভ উপুড় হয়েছে ।  ভাইফোঁটার আগের দিন হয় এই পরব। ষাঁড়ের শিঙে লাল রঙ দেওয়া হয়। একজন কমরেড পিঠে বসেন  আর ভোট দিতে যান। বলি জিও বেটা, জিও গভীর শান্তির অনুভব হলো । জয় মা! নারী-ভোটার বশীকরন টোটকা ষাঁড়ের পায়ের কাছে ঝোলে । দ্রুত ফল দানকারী যেমন কোন মন্ত্র বা তন্ত্র প্র্য়োগ করলে একাশি দিনের সাধনা সফল। শিরক দুই প্রকার । এক. শিরকে জলি । দুই. শিরক খফি। ও দেহা তুরুত তুরুত । ওয়ামিং কুল্লি দা-ঈই ইয়াশফীক। ওম শঙ্খম চক্রম জলুকমদধাদ অমৃত।


পঁচাশি

 সুখ পরী বিলাসনম্ । মৌলিম আমজোজা নেট্রামকালাম ভোডোজো ভালংম কতি তাত বিলাশনচারু পিটম বড়ধামভন্দে ধনবন্তরিম তম নিখিলা গদা ভনমপ্রুধা দাবাগনি লিলাম ওয়ামিং শাররি হাসিদিন ইযা-হাসাদ। ওয়া শাররি কুল্লিযি আঈন । এই সময় বাউল সাধক পরীর গলায় গোলাপ ফুলের মালা দেবে। পরী মালা স্বীকার করলে সাধকের বশীভূত হবে । সাধকের আদেশ অনুসারে কাজ করবে।  মন ঠিক রেখে, ধৈর্য্যশীল থেকে বাউল সাধককে কাজ করতে হবে।তোর চেহারা দেখলে তোকে কচি মনে হয় ঠিক কিন্তু মাথায় তাকালে আংকেলই মনে হয় ।কথা কিলিয়ার কোন ভেজাল নাই । আমি কর্ম তে বিশ্বাস রাখি, টিট ফর ট্যাট,  অন্ধ ও নেশাগ্রস্ত মানুষ যাদের চারটে হাত থাকে তারাই  এদের শক্তির উৎস


ছিয়াশি

মানুষের চোখসহা ছিলো ! বাটিচালা জলপড়া বৈধ। আপত্তিকর নয়। একদিন বোলতার ঘরটা নজরে পড়ে গেল বাড়ির লোকজনের। তারা তখনই ঠিক করলো ঘরটা ভেঙে দিতে হবে। বোলতাকে  বিশ্বাস করলে পূণ্য হয় কেঁচোকে বিশ্বাস করলে স্বর্গলাভ নিশ্চিত কেননা বোলতারা কবিতাও লিখতে পারে। কবে শিখলো গো ? আমার জ্বর বাড়লে পুরো শহর ছারখার হয় বলে মেয়েটার লহুলিহান লাশ খাটের তলায় গুঁজড়ে দিই চোখের মণিতে সেই মেয়েমানুষ বলেছিল কেন চলুন পালাই বলতে তো পারতিস ভালোবাসি চল্লো ভাগমভাগ কেটে পড়ি তুই তো সারা গায়ে শুক্ররস মেখে কোটি সন্তানদের মাম্মি আজি এসেছি, আজি এসেছি, এসেছি বঁধু হে নিয়ে এই হাসি, রূপ, গান; আজি আমার যা কিছু আছে, এনেছি তোমার কাছে, তোমায় করিতে সব দান।। 


সাতাশি

উড়িয়েছিলিস তাই বলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রত্যয়ই  পশ্বাচার, বীরাচার পেরিয়ে ক্ষমতা থাকলে শুধু নিজের কাজে লাগাও ফড়িং সেজে মানুষ কাঁদে না সর্বনাশ হয়ে গেছে ওগুলো কুমীরমুখো স্তাবক আমার মাকে সারা জীবন কুড়িজনের সংসারে চাকরানির খাটুনি খাটতে হয়েছিল তবু বাড়ির বাইরে ল্যাংটো রক্তমাখা এই ছুরি কেন  রাগ পুষে রাখতে হয় নয়তো কীসের মানুষ ক্রোধ ফাটা মাথা নিয়ে ধ্বংসের স্তূপে বসে গলা টিপে ক্যাওড়া দলে সপাটে কেলেঙ্কারি লাগাটা বেড়ে যায় বাহ ! বাহ ! বৈধ না অবৈধ কোন বেবাক মরদানগির আওতায় লুচ্চাদের লজ্জা দুরকম মনের আর দেহের  মোক্ষম অস্ত্র মাননীয় প্রেমের ভাটিখানা থেকে বুকে ভুঁকে দাও  তারুণ্যমেলায় বমচিকাবম দে রদ্দা কানের পাশে খিঁচকে রঙ্গভরা বঙ্গলোকের সরল মিষ্টি হাসির পাকাপাকি শক থেরাপি কোলে বসতে চায় সবুজ 


অষ্টআশি

মরীচিকা হতবাক খিল্লির গুঞ্জরণ ছিল গাড়ি থেকে নেমেছি আর জ্যাম  উদ্বেগাকুল বসে-বসে মাথায় টাক পড়ে গেল হে সারাজীবন একই বাড়িতে থাকলে  পড়শিরা মাথায় হাগবে কেননা গোরুদের  একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় যে ষাঁড় শ্রেণীর কোন বিশেষ প্রতিনিধি তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে আর যৌবনের বন্ধুদের মতন বাঁশ করবে দাও হুড়কো হুমহুনা   এই মেয়েমানুষ অ্যাসিড খেয়ে মরেছিলিস কেন বলতে তো পারতিস ভালোবাসি তোকে ভালোবাসি বিকল্প যুবতী পাসনি বলে ব্যাপারটাকে মনে করছিস প্রেম আমাদের সৌভাগ্য যে অন্যদের ঘেন্না করার মতন আনন্দ হয় না খসে পড়া জিভগুলো পড়ে আছে মাঝ রাস্তায় রাতের রস চেটেছিল তারা রীতিমতো জীবন্ত মহীরুহ আমার ঘাড়ে একুশটা মাথা চিরকাল  যতো ভাবে ততো মরে বাথরুমের দেয়ালে লিখে রাখে


উননব্বই

তীব্র ধিক্কার পরিণতি যে যৌবনের বন্ধুরা জোচ্চোর পকেটমার মিথ্যাবাদী হবেই যতোই উপকার করো হায় পৃথিবীর সমস্ত সঙ্গীতযন্ত্র থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে ভালবাসায় সে কেন ঝাড়া বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্রেমিকার পুরোনো প্রেমপত্র পড়ছিল তার হাত থেকে আত্মঘাতী লাল সেলাম কমরেড  বুদ্ধিজীবী আর রসগোল্লার ফারাক  মগজ অপারেশনের  সময় করোটি খুলে রাখা  অপারেশনের পরেও নজর রাখার  জন্য অনেক দিন  যা ছবি আঁকতে সাহায্য করে তিনি যখন লেখেন এক অজানিত ঘাগরাচোলি শরীর জুড়ে নুপুরের মতন কিন্নরে বাজে ঝুম বরাবর আর তিনি যেমন অভিমান, হায় অভিযোগ, মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে জন্ম দিলে না কেন তোমাকে দেখার বাহানা মৃত্যুর সময়ে তোমাকে নতুন শাড়ি পরিয়েছিলুম লাল রঙের 


নব্বই

আমাকে দাহ করার সময়ে যে গানটা শুনবো তা মুদ্দোফরাসকে বলে রেখেছি নতুন ভর্তি হইলেন নাকি, সেলিম ভাই? ধ্যাৎ অবস্থা তো ক্ষত-বিক্ষত লালনীল বহুবিচিত্র হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত হিজড়ে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ যে মেয়ে গর্ভসঞ্চারের ভয়ে মরে সে প্রেমিকা হবার অযোগ্য গিরগিটিপ্রতিম প্রেমিক ব্যাটা আরিব্বাস নুপুর বাজছে সামুদ্রিক ইবাদত কী কী হেরিলাম চক্ষু মুদিয়া তাল ঠুকিয়া উউউম্মম্মাহহহ এই মেয়েমানুষ বলেছিলিস কেন তোর ইউটেরাস নেই বলতে তো পারতিস ভালোবাসি তোমাকে ভালোবাসি কবিই জানে যে ভাষা হলো প্রাণীর বিকার ভদ্দরলোক দেখলেই তার সামনে পাগলের মতন নাচুন যেন পোঁদে ঘা হিংসাশ্রয়ী ভালোবাসায় নীল ছন্দ  চেতনার রঙে আলোকিত পাড়ার ছিঁচকে মাস্তান সব কয়টা দেশে গাধারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ জিতলেই খচ্চর


একানব্বই

পালটে যায় জয় জওয়ানি এটা কি সত্যি? ছেলে যখন পেন্সিল চিবোতো কুঞ্জবনের বাঘ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খরপরশা নূপুরের মহিমায় স্বরচিত নিমডাল ভেঙে গভীরভাবে বগলদাবা করে ল্যাজ নাড়ানোর ধরন ধারনের আভাসটুকু নেই এক জঘন্য ও ভাষাহীন স্বীকারে দ্বিধা নেই তো কান্নাকাটি করলে শাড়ি পরা কমে গেছে গুণবাচক চাঁদ উঠলে অনৈসর্গিক জগৎ সিদ্ধ করে খাবো ঘণ্টাধ্বনি শান্তি বজায় রেখেই মাগি আমাক লেপের নিচে শুইয়ে রেখে কন্ডোম কিনতে গেছে, আবার চুমু খাবার জন্য আমাকে ফোলানো বেলুন দিয়েছে গলায় ঝুলিয়েছে তন্দ্রাহরণের তাবিজ-তুবিজ বাঘনখে তৈরি শিবাজি ব্যবহার করেছিল আফজাল খানের পেট চিরে হারেমের খুকিগুলোকে মুক্ত করবে বলে


বিরানব্বই

কলকাতা হল শহরগুলোর এলিজাবেথ টেলর, পাগল, সুন্দর, বিচ্ছিন্ন, মোটা মেয়েদের ভাল্লাগে, আমার তো বার্ধক্য এবং চিরকালের নাটকীয়তা, জানিসই, লিজ বলেছিল কোনও মোহাচ্ছন্ন স্যুটরকে ও বিয়ে করবে, যে তার জীবনকে আরও আরামদায়ক করার প্রতিশ্রুতি দেয়, সে যতই অনুপযুক্ত হোক না কেন, প্রেম একটা জেল-সেল, একটা ডেথ-সেলের শিক দিয়ে আলাদা করা, কারণ প্রেম হলো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরে, প্রেমিক ইতিমধ্যেই তার ধূসর মৃত্যু-পোশাকের মধ্যে একটি কাব্যিক ভূত, আর লিজ টেলর, উনিশ গুলুগুলু তুলতুলে রসালো, মোটা তা সে যতই মোটা হোক দেখেছি তার লিজ টেলর চোখ—বৃষ্টির পরে চরসের মতো দুর্দান্তভাবে তাজা এই মেয়েমানুষ দশপাতার চিঠিতে কান্নাকাটি না করে লাইনে বলতে পারতিস তোশোক আখখেতের আড়ালে আনো


তিরানব্বই

চলো আমার অতীত পচা মড়ায় ঠাশা আজকাল তাদের মাংসে পোকা ধরেছে এই যে দেখছেন নখের কোনায় পিত্ত ফাটিয়ে ফাঁক করা ছাড়া কীই বা আছে কাঁদো কাঁদো আদুরে গলায় নৈরাত্ম-ভাবনাই ঝ্যাম কিলবিলে পোকা কী দুর্গন্ধ বহুত লম্বা হাত থাকলেই হলো আমি কি খার খেয়ে বসে আছি মায়ের হাতের ডিমঝুরি আবার বাজুবন্ধ অকৃত্রিম লটকালাম ! ছায়া ব্যস্ত হয়ে গেলে যে কায়া দৃশ্যমান হয় তা আদতে মৃতদেহে করা-ই যায় ভালোবাসার ও থাকে জুরাসিক যুগের শেষ দিকে এক শ্বাসরুদ্ধকর এক্সপায়ারি ডেট সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নির্ণয় নেয় কী ভালো আর কী খারাপ ধর্ম হোক জাত হোক গায়ের চামড়া হোক দল হোক যতটা অবিশ্রান্ত হ্যাংলামি আদুরে প্রথমোক্ত ঘরাণার  বউরা দুপুরে আমার ভেতর, যেন চিরবিরহী ম্যাড়ম্যাড়ে ওই দিগন্ত


চুরানব্বই

কিন্তু দেখার নেই পুরুষদের আগে মুখে, বুকে, নিতম্বে। অনবদ্য  রাজনৈতিক পতাকার মতন ক্ষত আর নেই এতটাই বেপরোয়া পুদুচেরির খুদে মুরগি হুহুহু হিহিহি হাহাহা হোহোহো, তিনটি মাত্রা যথেষ্ট র‍্যাম্পাট কেলিয়েছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ  একবার বা দুবার, একজন খারাপ যুবতিকে ভালবাসতে হয়, একটা ভাল যুবতি পাবার জন্য, গুলুগুলু যখন যুবতি হয়ে উঠতে শুরু করেছিল কাউকে তার দিকে তাকাতে দেওয়া হয়নি, কারণ সে ভেবেছিল যে সে মোটা কুইন ভিক্টোরিয়া, সত্যিই মোটা সুন্দর আর গুলুগুলু বুঝতে পেরেছিল যে ছেলেরা তাকে সুন্দর বলে মনে করে, দীর্ঘশ্বাস আর গোলাপি গাল আর চিকনি চামেলি চাউনি, রিচার্ড বার্টন শেক্সপিয়ার শোনায়, মুখস্হ, গুলুগুলুর চোখে 

কাজল গালে রুজ ঠোঁটে লিপ্সটিক, না, গুলুগুলুকে ইমপ্ল্যান্ট করাতে হয়নি, ও তো ক্লিওপেট্রা মস্তানি 


পঁচানব্বই

সিজার, বোঝেন তো, বাংলা সাহিত্য-পড়া  প্রতিক্রিয়াশীল সিলেবাস-প্যাঁদানো অভিজ্ঞতায় ভারতচন্দ্র থেকে আরম্ভ করে খুব বেশি দূর এগোতে পারেন নি, বড়োজোর ১ ছটাক বঙ্কিম সাড়ে ৩ সের শরৎ ও ৬০ মন রবীন্দ্রের সঙ্গে পোয়াটাক বিভূতি প্লাস তারাশঙ্করের চাকনা ছিটানো লাবড়া সাপটে এখন নীতিঠাকমার পুণ্য দায়িত্ব স্বেচ্ছায় পালন করছেন, “স্বচ্ছ ভারত”-তুল্য তৎপরতায়। যদিও, আপত্তির মূল কারণ — “মোটা ও মসৃণ তুলতুলে বাহু”-র মধ্যে যে অনাধুনিক আটপৌরে মাধুর্য আছে তা আপনার প্রিয় অথচ “ছোটো বুক” ভাল্লাগে না কেন ? বলিহারি আপনার রুচি। আরে... মহায়, আলঙ্কারিক আড়ম্বর ছেড়ে সোজা কথার সরল স্বীকারোক্তি ব্যঙ্গভূমির ধুমাধাড় সঙোসকিরিতি আপনার ক্ষুধার্ত যুগেও যা ছিল এখনও তা-ই আছে। যা তা। ঔচিত্যবোধ নিংড়ে গরস্তের ক্ষতের স্বর্ণ। 


ছিয়ানব্বই

গড়ানো কার্পেট থেকে আমার গুলুগুলু তুলতুলে প্রেমিকা শেক্সপিয়ারের হাতে গড়া, উই লাভ ইউ ডারলিঙ । হ্যাঁ, উই মিনস উই । হাতে রক্তের গন্ধ, আরবের সমস্ত আতর ঢেলে দিলেও সে দুর্গন্ধ দূর হবে না, সময়কে ফাঁকি দিতে, সময়ের মতো দেখতে, আপনার চোখ, আপনার হাত, আপনার জিহ্বা স্বাগত, তোমার একটু অভিমানের জন্য যদি কারো চোখে জল আসে, তবে মনে রেখো, তার চেয়ে বেশি কেউ তোমাকে ভালোবাসে না, ওহে, কেউকি আমাকে শেখাবে কী করে আমি চিন্তা করা ভুলতে পারি, আমি কি তোমাকে কোনো গ্রীষ্মের দিনের সঙ্গে তুলনা করব? তুমি একটু বেশিই প্রেমময় ও নাতিশীতোষ্ণ। আপনি  আমার কাছে কী প্রত্যাশা করেন ? একা ঘুমাই?  ! হ্যাঁ । ডিয়ার গুলুগুলু । বললি কেন তোর ইউটেরাস নেই ? 


সাতানব্বই

চলুন কোনো দায়-ফায় ঝক্কিঝামেলা নেই কালো আফ্রিকান স্কার্টপরা বেশ্যা হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে মার্কা মেরে রাখলো মনে হলো অন্ধকারে অন্ধকার চুষছি বুকে পাঁঠার রক্ত মাখিয়ে রেখেছে এই নাও পুঁজির পূঁজ খাও পাও চাও দাও লাও বুড়ো বয়সে বেঁচে থাকার আশ্রয় হলো জীবনকে পাগলাগারদে পালটে ফেলা কেউ পছন্দ করছে মানেই বিপদ এলো বলে ঘাড় হেঁট করে বংশানুক্রমিক কালো রঙের ফোঁস ফোঁস টাকা মানেই তো অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজের হাত হুইস্কিতে ধুয়ে ফেলুন বারো দিনের স্বামী ভয়ের যে কারণ আওয়াজ দেন ঢেঁকি গিলতে যদি হয় বাসনার দাম শাব্বাস লজ্জাবতী লজ্জানন্দ একই আনাচে কানাচে দুর্গা, বাসন্তী, ধর্মঠাকুর, রাস, ক্ষেত্রপাল, তোর্সা, তিস্তা, মহানন্দা হাট-বাট নগর ছাড়িয়ে ফসলবিহীন ঠিক ঠিক বিপদসংকুল


অষ্টনব্বই

 ডেঙ্গু নেগেটিভ শ্রীঘর থেকে বেরিয়েই দু’গরস খেয়ে তারপর ব্লাড ক্যান্সারে ভেজে খাইখেজুরের রস হাত ঘুরিয়ে অনেক নাড়ু পচা-নোঙরা খঞ্জ-খোজা ফিরে ওইটারে আত্মাকে অধিগত করে দাড়ি রেখেছেন হালায় আচ্ছে দিন আবার সাদা সাদা দাড়ি চরম বালখিল্য ও বাপ রে কী সুন্দর মুগ্ধ হয়ে হুজুরের নিদান নাম শুনে চমকে চুমু খেলে ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বলে বলে চরস ফোঁকার নেশা ধরিয়ে দিলে গো এখন ফুসফুসময় ঈশ্বরে ঈশ্বরে ছয়লাপ ওয়াশরুমে ভালোবাসা কতোটা কাল্পনিক উউউম্মম্মাহহ উউম্মাহহহ কার মাথায় হিসি করছেন খেয়াল করার দরকার নেই প্রেম করে বিয়ে করার পর গিরগিটির রং বদল ঝনঝন গুণ মানেই হিসির যোগ্যশব্দ শুরু উনি আগুনে পোড়াতেন গাঁজা একদিকে হাঁস-মুরগি,গরু-ছাগল অতএব কেন অমাবস্যার রাতে লিঙ্গ ঢোঁড়াসাপ ?


নিরানব্বই

উঁকি দিতে চান অথচ ককনও তোমাকে চায়নি জানো খুনসুটি চোখে জল প্রার্থনাময় মিশকালো টেস্টটিউব বেবির বাপ কে ? বলুন !  হেলতে হেলতে টলে গ্যাছে যে মতাদর্শ লাল ধুলো সর্বাঙ্গে মরিচঝাঁপির কাদায় অফবিট লোকেশনে পা গণতন্ত্রের নাড়ি জেগে উঠলো নষ্ট হয়ে যাওয়া কীট অসহ্য চুপচাপ কাঁদতে থাকি নষ্ট হওয়ার স্বাধীনতা উইরা যখন খেলই না, বইতে থাকে দুধকুসুম্বা নদী। চুমু ও সঙ্গম যোগ্য কোনো রমণীর উম্মাহ হায় একাকীত্ব ভাল্লাগে অথচ স্বমেহনের মশলা নেই অমর হবার পেছনে ছুটছে ভাগ্যক্রমে কোটিকোটি শুক্রকীটের মধ্যে থেকে ওই বানচোদই সাঁতারে প্রথম হয়েছিল তোমরা জানো আমি দুশ্চরিত্র লম্পট অয়ি গজদন্তমিনারবাসিনী আমি নখ বাড়তে দিই না


একশো

জানি তুই করাল দানবী সঙ্গমের পরই দাঁড়িয়ে ধুয়ে নিবি তক্ষুনি ওহো কতো হাজার লোকের মদ খেয়ে নর্দমায় গড়াগড়ি দেবার জন্য প্রতিভা দরকার পোঁদে কুলুপ এঁটে কারেন্ট চলে গেল মুন্ডু নেই পরিচয় নেই কিন্তু মগজকে উন্মাদ হতে হবে নয়তো প্রতিভার জনাকীর্ণ আদালতে মধুচাকের গান প্রভাতিল বিভাবরী, উত্তরিলা রাজ-ঋষি আমাদের চুলবুল পাণ্ডে আই লাব্বিউ, উনি এসেছিলেন চুপিচুপি অ্যানাইস নিনের ‘ডেলটা অব মার্স’ জমির দালালেরাও আস্তাবলবন্দী করে মাথা নামিয়ে ভীষণ কাঁদবে, ভাল কাউকে খুঁজুন আরে-ভাই  মৌবনে যৌবনের সাম-দাম-দন্ড-ভেদ নীতির উলুঝুলুকুলু মেধাবী এবং ভারী সাজুগুজু কী হাহাকার গো ! মাথা গরম হয়ে গেছিলো একটা ঘূর্ণি, শারীরিক উত্তেজনা  ওকে নিয়েই তো আমাদের মার্কসবাদ 


একশো এক

সাদা দাড়ি রাখার জন্য একাকীত্বকে জাস্টিফাই করেননি রবিঠাকুরের দাদু ! দু:খের মাঝে কিভাবে হাসতে হয় ক্ষুধার্ত হায়নার খাঁচায় চোখ উপড়ানো বোধহয় বাকি আছে প্রশ্নটি ঘিরে রয়েছে বিষ ছড়ানো নাকানিচুবানি খায়  কীর্তিকলাপের বিষয়ে দেশপ্রেম মাটি, মাম্মি, মানুষ ইত্যাদি দেখতে দেখতে দুঃসময়ের বিরুদ্ধে আমরা ক্লান্ত, ভীত, অসাড় এই বদবুদ্ধিগুলো কেন উঠে আসবে কথায় ভেজাল আ‌ছে গলায় এইসব শতকৌস্তভ যন্ত্র কেন নয় কেন নয় বড্ড শীত কচ্চে রে মুখ থম থম রাম-নাম সত্য হ্যায় বাদবাকি সমস্তকিছুই বুঝলেন তো ঝুটা হ্যায় স্বমহিমায় বিরল  কী বলছো ? আগেও ছিলো, এখনো আছে। না দেখলে আমার কী দোষ। না দেখালে কেমন করে দেখব ? এখন দেখালে তাই দেখতে পেলুম ! ঠোঁটের তলায় তিল বরকে দিলে?


একশো দুই

প্রেমালাপ করবেন তারা ভুলেও উহু আহা ময়না পাআআআখি এইসব করে ডাকবেন না। সোনা বাবুর মন খারাপ হলে মন ভালো করার জন্য চুমাচাটি করবেন , আপনার পাপ্পির শব্দে কোথায় কে বা কারা যাতনার ঠ্যালায় বেহুঁশ হয়ে যাবে সেটাও পরে দোষ আপনার হবে। বোঝেন গুড পিপলস? কি মিত্তিইইইইইই তিনি ঝাঁটা, কুলো, মশাল ও গদা ধারণ করে থাকেন শুধু শুধু এটা ভাজা ওটা ভাজা না খেয়ে ক্লেদপঙ্কিল  নির্মাণ ঋদ্ধিতে সুপ্রভ আমরা কাপুরুষ, ইতি গন্ধপুষ্পে , ওং রিংরিং আকাশে আধফালি চাঁদ অনেক ক্ষেত্রেই আর সব ক্ষেত্র এক না মা-মাম্মি-মানুষ এমনই মায়াঘন হেমন্ত পদ্মের পাতা তার ওপর মা মনসার হাত। বিরাশি বছর বয়সের বাংলার নির্লজ্জ বদনাম কবি !


একশো তিন

বুকের পাটাটাই পয়সা-কড়ির দাওয়াত আজো স্মৃতিতে অমলিন ধীরে, ধীর তরঙ্গে নিতম্ব ওঠে আর নামে সত্যিই তাই দ্রিমিদ্রিমি চেতনা দন্ড কখন- কিসে- কী উদ্দেশ্যে উথ্থিত হয় ঘেঁটে দেখেননি লাভিউ ।  নাম মেনশন করার দরকার নেই । লাভ হরমোনে পোড়া হৃদয়ের গন্ধ ! সত্যিই খুব ইচ্ছে তোমায় উলঙ্গ দেখার হে মৃত্যু কিস্যু আসে যায় না কী বলে ধন্যবাদ দেব আপনাকে কি বিষময় এ পেশা  ভবিষ্যত বলে কিছু নেই আজিকে কী ঘোর তুফান সজনি গো, জোরে জোরে তালি দাও তাল্লি।  ফিরেছি গো ঘরপোড়া গরু। সিঁদুরে মেঘ  অবিশ্বাসী শীৎকারে ঘাম উৎপাদন করবেই। তারপর ইনসিনারেটর তো আগেই বুক করা আছে

মুখাগ্নি করার দরকার হয় না জাস্ট ট্রে ঠেলে দাও 


একশো চার

ধর্ম এবং ঈশ্বর এই দুইটা অনস্তিত্ব আমার কাছে বেশ স্পষ্ট ভীষণ  ভালো করে দেখলাম ,অ, তুই ? স্তাবকতা ওনার রন্ধ্রে অদ্ভুত একটা ঘোর আছে, গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, তারা জানে, নরক বলে কিছু নেই। বা হটাৎ হটাৎ প্রেম পায় । সেই সুন্দরী কেন যে দাঁত মাজতো না জীবনে সবচেয়ে বড়ো আফশোষ অ্যাসিড খেয়ে মরে গেলি ? মোচরমান কোথাকার ! তোর ঈশ্বর তো আমার তাতে কী? তাদের নিয়ে হাসাহাসি করি, কাঠমোল্লা বলি, গোঁড়া, অন্ধ, কূপমণ্ডূক, মূর্খ, ধর্মব্যবসায়ী বেচারা

কিন্তু তুই তো বলেছিলি ধর্ম বলে কিছু নেই আছে কেবল মৃত্যু । তুই মরলি তোকে গোর দিয়ে তোর বাপ সমাধি গড়েছে । আমি মরে ছাই হয়ে গেলুম।

গণচিতায় মিশে গিয়ে তোর কবর ঘিরে পাক খাই।


একশো পাঁচ

স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়াকে  ঘরে রেখে ? আপনিও স্ত্রী যশোধরাকে লুম্বিনীতে রেখে মাঝরাতে চলে গেলেন। 

আমার শিষ্যদের দল নেই কোথায় গিয়ে মরে পড়ে থাকবো ? কী কষ্ট যে বুক চিতিয়ে বেরিয়ে পড়া? কাস্তে আর নেই আচমকাই এদের চিহ্নিত করে কাঁধ মিলিয়েছেন শীতকালে পাগল কম হয়  তাহলে চেপে যাবেন না আস্ত রাক্ষস বেরিয়ে ঘোড়া গুলো ঘাস খায় তেমন ব্যবস্থা অক্ষম, অসহায়, অন্ধ তারপরেও নাছোড়বান্দা  দাদু দিদাদের নিদান দেবেন তো ? মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে অকাল মৃত্যু ঠেকানো যায় কিন্তু আমি তো নিজেই কতো মন্ত্র লিখেছি কবিতার বইগুলোতে আর তার জন্য দাদু-আলোচকদের গালাগাল খাচ্ছি তার কী হবে ব্‌জ্জাতদের জন্য যারা তাদের নাভি-কে পুজো করে