মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরী

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

শেষতম প্রণয়িনী


এই বালিকাটি হীরের কণা দিয়ে গড়া, একে ছুঁলে
বালুকা-প্রতিমার মতো ঝরে যাবে আমারই ওপরে
হাজার বছর চাপা পড়ে থাকবো উট-চলা পথহীন পথে
শেষতম প্রণয়ের দুরারোগ্য অসুখের অজস্র ক্ষত হয়ে
বিদ্যুৎ-আগুনের বজ্র-স্ফুলিঙ্গ দিয়ে মোহনার সেতু
গড়তে পারলেও হীরের কণার প্রতিমাকে পাওয়া অসেতুসম্ভব
ছোঁবো না কখনও, বলব না ভার্জিন ইলিশখুকিদের সাথে
পদ্মার নৌকা হয়ে এসো স্বপ্নে, আলুলায়নের ডাক দাও।

হীরেকাটা ছুরি দিয়ে বুকের ওপরে রক্তে লিখেছি কাবিন --
দেনমোহর আমার অস্তিত্ব, যখন যেদিন ইচ্ছা, কলজে বা
হৃৎপিণ্ড কেটে নিয়ে যেও, তবুও স্পন্দন  থামবে না
তোমাকে দূরত্বে রেখে বাঁচার ক্ষুধার, দেখেছ তো 
কোরবানির পরও কতক্ষণ হৃৎপিণ্ডে অস্তিত্ব জেগে থাকে
যেন নাছোড় অশীতিপর মলয় বাতাসের রেশ রয়ে গেছে--
বালি আর বাতাসের প্রণয়সম্পর্ক বুঝতে পারে না কেউ ;
না যৌনতা নয়, যৌনতা তো রাঙঝাল-করা মাংসের
অপ্রণয় ; তাছাড়া, তুমি তো রক্তমাংসের দেবী নও
হীরের কণায় গড়া কালহীন অসেতুসম্ভব মোহনার সেতু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন