মৃত্যু আমার শিষ্যা
শিষ্যা, হিজড়েরা যাকে বলে চেলি, তার ক্লায়েন্ট
সময় ঘনিয়ে এসেছে, যদিও আমায় ঘিরে থাকা রাধা
আর গোপিনীদের বয়স আমার চেয়ে বেশি -- রাধা ফুচকায়
টোকো-রক্ত ভরে খেতে ভালোবাসে --- মলয় কুবাতাস মেখে
মলয়াতুর জলে ডুব দিয়ে তারা আর উঠে আসেনি
আমি করোটিতে তাড়ি নিয়ে খেয়েছি -- গোপিনীদের
নাভির জড়ুলের ওপরে রেখে -- আমার নামের জড়ুল
তারা আমার মায়ের পেটের বোন, ভয় দেখায়, আমি মুখ খুলি
প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে চাপা দেয় আমাকে, কেননা আমার
মৃত্যু নেই, ক্ষয় নেই -- মানুষ হয়ে জন্মালে মরে যেতুম একদিন
এমনই অভিশপ্ত যে সারা দেহে সুন্দরবন - বাঘের ডাকে থমথমে
রক্তের মধ্যে বাজপাখিরা ডুবউড়াল দিয়ে দুর্নাম ছড়ায়
শিষ্যার টনক নড়েছে অনন্তকাল মলয়ঝড়ের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে
বলাই রেগেমেগে কানাইতে ঢুকে হল্লার হলকা তোলে -- মনে আছে
তো ? মহাপ্রস্হানের হাইওয়ে জুড়ে লাশের পর লাশ খুবলে খেয়ে
বেঁচে ছিল কতো শিষ্যা তাদের বাবার অনেকগুলো সংসার বলেছেন
গোপিনীদের কাঁখে পদ্মার ইলিশের গান বিয়া করো নাই ক্যান
সাবধান হই আমার গলার ওপর পায়ের চাপ দিয়ে হুকুম দেন
সত্য বল আমার মুখে তাড়ির ফেনায় শিষ্যাদের মুর্শিদি গান
আরে শিষ্যা ভয় পাস কেন ? আমি বিরাশি বছরের গুরুদেব !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন