ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ
জেঠার সাইকেলের পেছনে বসে যেতুম ছুটিছাটায়
পাটনা মিউজিয়ামে এঘর ওঘর সেঘরে ধবধবে ফসিল
থেকে মুগুরধারী গুহামানুষের ল্যাংটো দল থেকে
সোনা-রুপোর মুদ্রাকড়ি থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য থেকে
প্রবাল চুনী পান্না পোখরাজ গোমেদ ইন্দ্রনীলা মুক্তো
পদ্মনীলা বৈদুর্যমণি ফিরোজা চন্দ্রকান্তমণি ফিরোজা
আকিক ঝিউড়ি আর বউরা বারবার এসে দেখে যায়
আগ্নেয় পাললিক রূপান্তরিত পাথর পোড়া মাটির মূর্তি
কনকনে ঠাণ্ডায় হেলে-বসে-দাঁড়িয়ে রয়েছেন বুদ্ধ
অপ্সরার দল আর কে জানে কোন পাথরের ধুলোপড়া
মুণ্ডহীন এক পেশীপুরুষ যার লিঙ্গে টুক করে হাত বুলিয়ে
চলে যাচ্ছেন যুবতীরা এমনকি ঘোমটানশীন প্রৌঢ়া--
বছর বছর ধরে মেয়েলি হাতের পরশে চকচকে--মূর্তির
পাটাতনে লেখা, “ম্যাসিডোনিয়ার তৃতীয় আলেকজান্ডার” ।
আমি ভাবি, লোকটার মাথা নেই, কেমন করেই বা জাদুঘর
জানতে পেরেছে উনি আমাদের বইয়ের আলেকজাণ্ডার !
সে-কথাই জানতে চাই জেঠার ঘরে গিয়ে। ওনার টেবিলে রাখা
নানা জিনিসের মুণ্ডুর ভিড়ের ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে বল্লেন,
“তোর যদি মুণ্ডু না থাকে, আমি কি জানব না ওটা তুই ?”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন