তোমার শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ, টের পাবার আগে, মন্দার পাহাড়ে
লুকিয়ে খাচ্ছিলুম, আঃ, আটকে গেল কন্ঠনভোচরে, নীল বিষ হয়ে ;
আমার দুই পা ধরে অসুরেরা আর দুই হাত ধরে দেবতারা, কালসাপ ভেবে
মন্হন করতে লাগলো অমৃতের লোভে ; জানতো না ওরা, তুমি আছো
আমার কন্ঠস্বরে অক্ষরে অভিধা ব্যকরণে নীলকূট হয়ে প্রিয়তমা
তুমি তো নীলাকাশ তুমি তো ধরাছোঁয়া থেকে বহুদূর কবিতামানুষী
শাশ্বত চাউনিতে, অসহ্য যন্ত্রণায় ক্ষুধার্তের গ্রাসনালিকায়, আঃ,
দেখেছো তো দু’পক্ষই আতঙ্কিত এমনকী মূর্ছিত আমার মারণঘূর্ণনে,
তোমার শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ, অষ্টাদশী, চুরি করে খেয়েছি যে--
পুরোটা ব্রহ্মাণ্ড, তীর্যক তাকিয়ে আছো, উদ্গীরণ নিতে ঠোঁট খোলো
আমার হাঁ-মুখে জিভ রেখে দ্যাখো সিংহাসনে তুমি বিশ্বরূপা
স্বাদ নাও বিষরসে ভেজা অক্ষর শব্দশ্বাস ব্যকরণ পিচ্ছিল আলো, আঃ
কন্ঠনালিতে তুমি শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ আটক থাকবে চিরকাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন