পৌরাণিক ট্যামপুন
রামের পেছন পেছন আমিই যাচ্ছিলুম
দেখলুম পৌরাণিক পোশাক পরা ভদ্রলোক
ওনার স্ত্রীর ফেলে দেয়া গয়নাগুলো কুড়িয়ে এগিয়ে চলেছেন
বুঝতে পারলুম না উনি আতঙ্কিত সীতার চুলের নুটি
নখের কুনিগুলো কেন তুলে নিচ্ছেন না
গয়নায় তো শুধু সতীত্ব মোড়া থাকে
ওগুলো নিয়ে হবেটাই বা কি ! যুদ্ধ জিতে পশ্চিমবঙ্গে তো ফিরবেন না যে
কলকাতার আশেপাশে শিল্পের পত্তন করবার পুঁজি একত্র করছেন !
আমি প্রতিটি নখের কুনি তুলে নিতে লাগলুম
আহা কড়ে আঙুলের নখে রজনীগন্ধার সুবাস
অনামিকায় ইউ ডি কোলোনের সুগন্ধ
তর্জনীতে – নাঃ থাকগে, কোথায় প্রয়োগ করেছেন
কিন্তু গন্ধটা দারুণ – মেরিলিন মনরোর কথা মনে পড়ে
অবশ্য জেনে আপনাদের কীই বা হবে, তখনকার দিনে
ডিলডো পাওয়া যেতো কিনা প্রত্নতাত্বিকরা এখনও জানানি :
বুড়ো আঙুলে ওনার থুতুর সেক্সি দুর্গন্ধের মোহক আকর্ষণ–
থুতু দেয়া প্রতিটি চুলের নুটি তুলে নিতে লাগলুম
দেখলুম কয়েকটা চুল ভয়ে পেকে গেছে অথচ রাম লোকটা
পরমপুরুষ হয়েও টের পেলো না কেন ?
তুলতে তুলতে শেষে যেটা তুললুম সেটা ট্যামপুন
সত্যি প্রাচীন ভারত কতো উন্নত ছিল বলুন
যে ট্যামপুনও আবিষ্কার করে ফেলেছিল
রাম যদি ট্যামপুনগুলো জড়ো করে অযোধ্যায় নিয়ে যেতো
তাহলে সীতাকে আর অগ্নিপরীক্ষা দিতে হতো না
আমি ট্যামপুনগুলো জড়ো করে রেখেছি
কলকাতায় অ্যাকাডেমি অফ ভেরিফাইন আর্টসে প্রদর্শনী করার ইচ্ছে আছে
কাকে দিয়ে ট্যামপুনের মোড়ক উন্মোচন করাবো
তার হেব্বি হেব্বি গবেটের তালিকা তৈরি করছি
আপনারা সবাই আসবেন কিন্তু
একটা করে নখের কুনি মেমেন্টো হিসাবে পাবেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন