সুইস
ব্যাঙ্কের ভল্ট
আমি ফুলকলির ঘরে পোশাক খুলে
ফ্যানের তলায় ল্যাঙটো হয়েই
বসেছিলুম
ফুলকলি তৈরি হচ্ছিল
আমার সঙ্গে প্রেম করবে বলে
বডিস ব্লাউজ শাড়ি খুলে ফেলেছিল
ওর ঘরের বন্ধ দরোজায়
তিনটে টোকা পড়ল
তিনটে টোকা পড়ল
সঙ্গে গলাখাঁকারি
বুঝতে পারলুম যে ইশারাটা ফুলকলি
চেনে
ও দরোজা খুলতেই কদমছাঁট
পেটমোটা কালো
বছর পঞ্চাশেকের লোকটা বলল
নে তোর সুইজারল্যাণ্ডের
ব্যাঙ্কের ভল্ট খোল
এই হপ্তার টাকাটা আগাম দিয়ে
যাই
ফুলকলি ওর শায়া ওপরে তুলে
ধরতেই
লোকটা চারটে করকরে একহাজার
টাকার নোট
চার ভাঁজ করে গুঁজে দিল
ফুলকলির যোনিতে
দরোজা বন্ধ করার সময়ে ফুলকলি
জিগ্যেস করল
শুক্কুরবার আসছেন তো
মদ কিনে রাখবো
লোকটা বলল ‘দেখি’
আমিও ফুলকলিকে বললুম
ওইভাবেই এদিকে ফের তো
‘দেখি’
পাকিস্তানি
ব্যাঙ্ক
আমি খুবই খারাপ কাজ করি
মগজকে ফাঁকা থাকতে দিই না
তাই জন্যে আমি ভালো বাঙালি নই
এই যে ল্যাঙটো হয়ে শুয়ে আছি
চম্পাকলির তোয়ালে-পাতা বিছানায়
নীল টুনি জ্বালিয়ে প্রেম করবো
বলে
বন্ধ দরোজায় চারটে টোকা পড়তে
চম্পাকলি বলল ধারের খদ্দের
টাকা দিতে এয়েচে
বিনা পোশাকেই চলে গেল সোজা
দরোজা খুলে বলল
কী টাকা এনেছ
আর বাকিতে কাজ হবে না
মাসের পর মাস বাকি রাখো
আমার দাঁড়ানো লিঙ্গের দিকে
তাকিয়ে লোকটা বলল
উরি বাবা বোফোর্স কামান রেডি
তাই আমাকে কথা শোনাচ্ছিস
এনেছি টাকা পুরোটাই এনেছি
তোর পাকিস্তানের ব্যাঙ্কের
দরোজা দেখা
চম্পাকলি পেছন ফিরল আর
লোকটা চারটে করকরে হাজার টাকার
নোট
চার ভাঁজ করে গুঁজে দিল
চম্পাকলির পেছনে
আমি বললুম চেক করে নে নকল নয়তো
চিনে ছাপানো টাকা পাকিস্তানিরা আকছার আনছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন